Uncategorizedরাজ্যের খবর

বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় রাজ্যে বাড়ানো হচ্ছে জলাশয়, কোচবিহারে আরও ৫টি দিঘি সংস্কারের পরিকল্পনা

Reservoirs are being increased in the state to protect the ecosystem.

The Truth of Bengal: বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় রাজ্যে বাড়ানো হচ্ছে জলাশয়।বাংলার অন্যান্য জেলার মতোই এবার কোচবিহারে জলাশয়ের সংখ্যা বাড়ানোর প্রতি নজর দেওয়া হল।কোচবিহারে আরও ৫টি দিঘি সংস্কারের পরিকল্পনা নিল প্রশাসন।মোট অর্থ ব্যয় হচ্ছে ৪কোটি ৬০লক্ষ টাকা।পুর-নগরোন্নয়ন দফতর জলাশয় বাঁচানোর জন্য আন্তরিক প্রয়াস নেওয়ায় খুশি উত্তরবঙ্গের পরিবেশপ্রেমীরা।

পরিবেশের  মতোই বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় সজাগ রাজ্য সরকার।ধারাবাহিক জলাশয় সৃষ্টির কাজের সুফলও মিলছে। জাতীয় স্তরের সমীক্ষায় স্পষ্ট, ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে সর্বাধিক জলাশয়ের সংখ্যা। বাংলায় জলাশয়ের সংখ্যা মোট ৭,৪৭,৪৮০টি। দেশের ২৪.২৪ লক্ষ জলাশয়ের মধ্যে ৯৭.১ শতাংশ বা ২৩.৫৫ লক্ষ গ্রামীণ এলাকায়।  মাত্র ২.৯ শতাংশ বা ৬৯,৪৮৫টি শহরাঞ্চলে রয়েছে। জলাশয়ের ৫৯.৫ শতাংশ পুকুর, জলাধার -১২.১ শতাংশ। এরম উত্তরবঙ্গে জলাশয়ের সংখ্যা বাড়ানোর প্রক্রিয়া জোরদার হয়েছে।সংস্কার করা হচ্ছে দিঘী-খাল থেকে বিল সবকিছুই।কয়েকদিন আগে    সাগরদিঘী এবং বৈরাগী দিঘি সংস্কার করা হয়।  এবার কোচবিহার শহরের আরও  পাঁচটি দিঘী সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হল। শহরের রাজমাতা দিঘী, নরসিংহ দিঘী, যমুনা দীঘি, পুলিশ লাইন  দিঘী এবং বেনফিস ভবন দিঘী সংস্কার করা হচ্ছে। এই পাঁচটি দিঘির সংস্কারে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের অনুমতি পেলেই পাঁচটি দিঘী সংস্কারের জন্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। কোচবিহার শহরে প্রস্তাবিত হেরিটেজ শহরের হেরিটেজ নিদর্শন গুলির তালিকার মধ্যে রয়েছে সাগর দিঘী এবংবৈরাগী দিঘি,   বর্তমানে তার কাজ শেষের দিকে। হেরিটেজ শহরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লাইট থেকে শুরু করে নতুন ভাবে সীমানা প্রাচীর তৈরি করা সমস্ত কাজ নজর কেড়েছে। এবার যে পাঁচটি দিঘির সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেখানে আলোকসজ্জার পর্যাপ্ত ব্যবস্থার সঙ্গে দিঘীর পার সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। নরসিংহ দিঘিতে আগেও এই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সেটা অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । সেটা সম্পূর্ণ করে নতুন ভাবে যাতে সংস্কার কাজ করা যায় তার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা এই দিগিগুলির পাড় যাতে  হাটা চলার জন্য উপযুক্ত স্থান তৈরি করা যায় সেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।সবমিলিয়ে গ্রিনসিটি ক্লিন সিটির পরিকল্পনা রূপায়ণ করে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষার যে সামজবন্ধু-পরিবেশবন্ধু কর্মষজ্ঞ শুরু হচ্ছে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে পরিবেশপ্রেমীরা।

Related Articles