তিব্বতি আদব কায়দা জানতে পৌঁছে যান দুরপিন মনেস্ট্রিতে
Reached Durpin Monastery to learn Tibetan etiquette

The Truth of Bengal: কালিম্পং শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত দুরপিন দারা। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৫০১ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এই দুরপিন দারা পাহাড়ের উপর অবস্থিত জ্যাং ধোক পালরি ফোদাং। যা দুরপিন মনেস্ট্রি নামেও পরিচিত। এই তিব্বতি বৌদ্ধ মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯৫৭ সালে দুদজোম রিনপোচে। এর পর এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রিতে ১৯৭৬ সালে এসেছিলেন দালাই লামা। এই মনেস্ট্রিতে গেলে আপনার নজরে পড়বে এখানকার সুন্দর কারুকার্য। সম্পূর্ণ তিব্বতি এই বৌদ্ধ মঠে আসলে দেখতে পাবেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের সমস্ত আদব কায়দা।
এই বৌদ্ধ মঠ ঢোকার মুখেই পড়বে একটি বড় গেট। তারপর গেট পেরিয়ে কিছুটা গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে এক পা দু পা করে উঠেই দেখতে পাবেন মঠের মূল কাঠামোর ভিতরে রয়েছে বিশাল বড় বুদ্ধের এক মূর্তি। বুদ্ধের অনেক রকম রূপ আছে, কোনটা রাগান্বিত রূপ আবার কোনওটা শান্ত স্নিগ্ধ রূপ। এই মনেস্ট্রিতে গিয়ে বৌদ্ধের খানিকটা রাগান্বিত রুপের দেখা মিলবে। মন্দিরের ভিতরে ছোট ছোট আসন পাতা এবং সামনে ছোট ছোট কাঁচের টেবিল। প্রার্থনার সময় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা এখানে বসে প্রার্থনা করেন। সেই দৃশ্য একবার দেখলে আপনার মন একেবারে শান্ত হয়ে উঠবে।
এই বৌদ্ধ মন্দিরে যেমন প্রার্থনা কক্ষ আছে তেমনি আরও কিছু কক্ষ আছে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের জন্য। বৌদ্ধ মঠের একদম শুরুতেই রয়েছে অসংখ্য প্রার্থনা চক্র। যে চক্র ঘোরাতে ঘোরাতে আপনি নিজের মনের ইচ্ছে বুদ্ধকে সরাসরি জানাতে পারবেন। এই মঠের ভিতরে ১০৮ টি তিব্বতি ধর্ম গ্রন্থ নিরাপদে সংরক্ষিত রয়েছে। কালিম্পং আসলে অবশ্যই ঘুরে নিতে পারেন এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রিও। ভাবছেন কিভাবে যাবেন? ট্রেনে করে এনজেপি পৌঁছে সেখান থেকে শেয়ারে গাড়ি ভাড়া করে কালিম্পং শহর পৌঁছে যান। কালিম্পং শহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরেই এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রি। এখানে আশেপাশে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা সম্পন্ন হোমস্টেও পেয়ে যাবেন। তাই দেরি না করে মন চঞ্চল থাকলে এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রি থেকে ঘুরে আসুন।