
The Truth of Bengal: ভ্রমনপিপাসুরা সর্বদায় চান পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্রে যেতে। এই সব কিছুর বাইরেও যে গ্রাম বাংলার একটা মাধুর্য রয়েছে , সেই মাধুর্যের মর্ম কতজনেরই বা মন কাড়ে। সিউড়ির পাশেই গ্রামের মেঠো পথ ধরে গাছগাছালির প্রান্তর পেরিয়ে দেখবেন অপূর্ব এক টেরাকোটার মন্দির, যা বিস্নুপুরের টেরাকোটার মন্দির কথা মনে করিয়ে দেয়। সিউড়ির সোনাতোর পাড়ায় অবস্থিত রাধা দামোদর মন্দির দর্শন না করলে বীরভূমে এসেও আপনার বীরভূম যাত্রা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মতে এই মন্দির বীরভূম জেলার সবচেয়ে সুন্দর ও প্রাচীন টেরাকোটার মন্দির। লোক মুখে শোনা যায় ৩৫ ফুট উঁচু আটচালার এই মন্দির আনুমানিক ১৭০০ বছরের পুরনো।
এই মন্দিরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য মাকড়া পাথরের বেদির উপর পোড়া ইট দিয়ে তৈরি এই মন্দির। প্রত্যেক ইটের মধ্যে দেখতে পাবেন নানা চিত্র আঁকা রয়েছে। এই প্রতিটি ইটে আঁকা চিত্র আপনাকে প্রাচীন গাথা শোনাবে। একটি ছোট্ট প্রাচীর দিয়ে ঘেরা রয়েছে এই মন্দির। বর্তমানে এই মন্দিরের ভিতরে নেই কোন বিগ্রহ। মন্দিরে রয়েছে ৩ টি প্রবেশ দ্বার ও একটি ছোট্ট বারান্দা। মন্দিরের দেওয়ালে বিষ্ণুর দশ অবতার ও হিন্ধু দেবদেবীদের প্রতিকৃতি দেখে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে। সিউড়ি গেলে শুধু রাধা দামোদর মন্দিরই নয়।
দেখতে পাবেন সুবিশাল তিলপাড়াগ ব্যারেজও। ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর এই বাঁধ এর দৈর্ঘ্য ৩০৯ মিটার এবং প্রস্থ ১৮.২৯ মিটার। সুবিস্তৃত এই জলরাশির পাড়ে বসে পশ্চিম দিগন্তে সূর্যাস্ত দেখতে আপনার অসাধারণ লাগবে। নৌকা দেখা না গেলেও এই ব্যারেজের আশপাশ থেকে নানা ধরনের পাখির আওয়াজ ভেসে আসবে আপনার কানে। দূরে না নিয়ে এই গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে চাইলে আপনাকে পৌঁছাতে হবে সিউড়ি। এছাড়াও ধর্মতলা থেকেও আপনি সিউড়ি আসার জন্য অসংখ্য বাস পেয়ে যাবেন।