অরণ্যে ঘেরা দুটি হ্রদের গ্রাম! অজানা এই ডেস্টিনেশনটি কোথায়? দেখুন

The Truth Of Bengal: পাহাড়ের রানি দার্জিলিং এর মধ্যে কত অজানা ডেস্টিনেশন আছে যেখানে গেলে কোলাহল মুক্ত প্রকৃতির স্বাদ আপনি পেয়ে যাবেন। দার্জিলিং থেকে ২০ কিমি দূরেই রয়েছে জোড়পোখরি অভয়ারণ্য। যা ভারত নেপাল সীমান্ত থেকে ১৮ কিমি দূরে অবস্থিত। এই অভয়ারণ্যের মধ্যে নানা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী দেখতেই বহু পর্যটক ভিড় করেন এই জোড়পোখরি অভয়ারণ্য এসে। জোড়পোখরিতে রয়েছে দুটি হ্রদ। নেপালি ভাষায় জোড় শব্দের অর্থ জোড়া। ১৯৬৪ সালে প্রথম বিলুপ্তপ্রায় টিকটিকি প্রজাতির প্রাণী সালামান্ডারের দেখা পাওয়া যায়।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৪০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত জোড়পোখরিতে গেলে পরিবেশের মন মুগ্ধকর পরিবেশ দেখে আপনার মন ভরে উঠবে। কুয়াশায় ঢাকা দুটি সরোবর থাকায় এই অঞ্চলের নাম হয়েছে জোড়পোখরি। এখানকার এই হ্রদগুলিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শান্ত নিরিবিলেতে ভরা একটি পার্কও। পার্কের একপাশেই দেখতে পাবেন ভিউ পয়েন্ট যেখান উঠে নিচের শৈল শহর দার্জিলিংকে দেখতে অপূর্ব লাগবে। শুধু দার্জিলিং না এখান থেকে দেখতে পাবেন কার্শিয়াং ও। ভাগ্য ভালো থাকলে আপনি মেঘ সরলে দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য দেখতে পাবেন। চারিদিকে দেখবেন পাইন বন।
এই দুই হ্রদের জলে ভেসে বেরায় কত অজানা পাখি। তাদের কলতান শুনতে শুনতে হ্রদের ধারে পার্ক ঘুরতে আপনার বেশ ভালো লাগবে। এও কিছু শুনে জোড়পোখরি যাওয়ার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠল বলুন। জোড়পোখরি যেতে হলে আপনাকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছতে হবে। এখানে থাকার জন্য রয়েছে হোমস্টে বা লজ। তাই অনায়াসেই আপনি এই গরমের হাত থেকে একটু বাঁচতে ঘুরে আসুন জোড়পোখরি থেকে।