ভ্রমণরাজ্যের খবর

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই অভয়ারণ্য! উইকেন্ডে ঘুরে আসুন পারমাদান থেকে

Tourism of West Bengal

The Truth of Bengal: চোখ খুলে আপনার সবুজের দর্শন মেলা ভার হয়। শহরের যেদিকেই আপনি তাকান না কেন দেখতে পাবেন ইট-কাঠ-কংক্রিটের বহুতল৷ অফিসে ঢুকলে আপনাকে সামলাতে হয় পাহাড় প্রমাণ কাজের চাপ৷ সারা সপ্তাহে কর্মক্লান্ত থাকার পর মনটা চায় সপ্তহান্তে একটু নিরিবিলিতে মনটা রিফ্রেশ করতে। তাই উইকএন্ডে সবুজের মিছিলে অক্সিজেন নেওয়ার জন্য বেড়িয়ে পরুন পারমাদন ফরেস্ট বা বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যের উদ্দেশ্যে৷ কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার।

বনগাঁর কাছেই রয়েছে পারমাদন অভয়ারণ্য (Parmadan Forest)। একেবারে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি   রয়েছে এই সবুজভূমি। কথিত আছে,এই জায়গার খুব কাছেই থাকতেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Bibhutibhushan Bandyopadhyay)। তাই ১৯৯৫ সালে বিভূতিভূষণের নামে নামাঙ্কিত করা হয় এই অভয়ারণ্যকে। ইছামতী নদীর গা ঘেঁষে শিমুল, অর্জুন, শিশু, শিরীষ গাছের ভিড়ে হারিয়ে যেতে হলে আপনাকে যেতে হবে পারমাদনের জঙ্গলে।  ময়ূর আর খরগোশের আনাগোনার মতোই রয়েছে হরিণের মায়বী বিচরণ।  গাছ আর পাখি ছাড়া যা খুব বেশি করে চোখে পড়বে, তা হল হরিণ। প্রায় ২৫০টা হরিণ রয়েছে এই জঙ্গলে। ১৯৬৪ সালে ১৪টি চিতল হরিণ এই অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই অভয়ারণ্যের চেহারা নেয় পারমাদন।

শোনা যায় পাখ-পাখালির কলতান।শঙ্খচিল, নীলকণ্ঠ, ফুলটুসির মতো পাখির ছবিও ক্যামেরাবন্দি করতে পারেন আপনি৷  ইছামতীর ধারে ৬৮ বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে থাকা পুরো অভয়ারণ্যের ভিতরে রয়েছে শিশুদের মন ভালো করা নানা উপাদান। চিলড্রেন্স পার্ক ছাড়াও রয়েছে ছোট্ট একটা চিড়িয়াখানা আর বন দপ্তরের ট্যুরিস্ট লজ। ভিতরে বনভোজনও করা যায় অনুমতিসাপেক্ষে। আবার লজে ইচ্ছা হলে আপনি রাতেও থাকতে পারেন৷ অভয়ারণ্যের ভিতরে ঢোকার জন্য এবং যানবাহনের জন্য কিছু ট্যাকের কড়ি আপনাকে গুণতে হবে।

কীভাবে যাবেন এই ছোট্ট অভয়ারণ্যে ?
শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ লাইনের ট্রেন ধরতে হবে৷ বনগাঁ স্টেশনে নামুন৷ এবার টোটো বা অটো ধরে আপনাকে মতিগঞ্জ বাগদা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছাতে হবে৷ সেখান থেকে দত্তফুলিয়াগামী যেকোনও বাসে চড়ে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন পারমাদন ফরেস্ট৷ সড়কপথেও যাওয়া যেতে পারে পারমাদন ফরেস্টে৷ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গাড়িতেও পৌঁছে যেতে পারেন এই ঠিকানায়৷

Related Articles