বসন্তে রঙিন হয় পাহাড় ভাঙা, দেশের নতুন দর্শনীয় স্থান ঝাড়খন্ড
The hills are colorful in spring

The Truth of Bengal: পাথুরে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। একেবারে যেন সিনেম্যাটিক জায়গা। পাহাড়ের নীচে কুলকুল শব্দে বয়ে যায় নদীর চোরা স্রোত। স্থানীয়দের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্পট। তবে, ধীরে ধীরে এই স্পটটি হয়ে উঠেছে একটি পর্যটনস্থান। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ মাঝে মধ্যে কয়েকদিনের ছুটিতে এখানে কাটিয়ে যান। নদীর একদিকে কাশের ফুলের জঙ্গল এবং অন্যদিকে জঙ্গলও চোখে দেখা যায়। ছোট ছোট পাহাড়ের উপর থেকে দেখলে বেশ একটা রোমাঞ্চকর অনুভূতির সৃষ্টি হয়। বসন্তকালে চারপাশের গাছে পলাশ ফুল ফুটে থাকে। ফলে গোটা এলাকাটা দূর থেকে লাল টকটকে দেখায়।
এই পাহাড় ভাঙার কাছেই আছে রনকিনি দেবীর মন্দির। কথিত আছে এখানে নাকি প্রাচীনকালে নরবলি হতো। ঝাড়খণ্ডের জাগ্রত কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। মন্দির চত্ত্বর বেশ পরিচ্ছন্ন এবং শান্তিপূর্ণ। একেবারে জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে মন্দিরটি। পাহাড় ভাঙা এলে এই মন্দিরটিও ঘুরে আসতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে গোলপাহাড়ি মন্দির। আড়াইশো সিঁড়ি বেয়ে এই গোলপাহাড়ি মন্দিরে যেতে হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই মন্দিরে প্রার্থনা করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। এই গোলপাহাড়ি মন্দির থেকে গোটা জামশেদপুর শহরের সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ দেখা যায়। গোলাকার পাহাড়ের চূড়ায় মন্দির বলে একে গোলপাহাড়ি মন্দির বলা হয়।
কলকাতা থেকে মাত্র ৬-৭ ঘণ্টা ট্রেন যাত্রা করলেই এখানে পৌঁছে যাওয়া যায়। এই স্থানটিতে যেতে হলে টাটা নগর স্টেশনে নামতে হবে। কলকাতা থেকে কোল্ডফিল্ড এক্সপ্রেস বা বন্দে ভারতও রয়েছে টাটা নগর যাওয়ার জন্য। টাটা নগর থেকে পাহাড় ভাঙার দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার। তাই, টাটা নগর স্টেশন থেকে গাড়ি বা অটো ভাড়া করে চলে আসুন সোজা পাহাড় ভাঙা। এখানে এলে মনে হবে কোনও কাশবনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। চার পাশে কেবল কাশফুলের জঙ্গল। শরতের নীল আকাশ আর কাশ ফুলের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে অসাধারণ লাগে। এতো কাশফুল একসঙ্গে অনেকেই দেখেননি কখনও। পাহাড় আর কাশ ফুলের বাহার দেখতে পুজোর ছুটিতে কিংবা বসন্তে পলাশের সমাহার দেখতে আপনার গন্তব্য হতেই পারে ঝাড়খন্ডের এই নতুন টুরিস্ট স্পট পাহাড় ভাঙা।