ভ্রমণ

নিমেষের মধ্যে উধাও হবে গরম, ঘুরে আসুন দার্জিলিং সংলগ্ন চা উপত্যকায়

The heat will disappear in no time, visit the tea valleys adjacent to Darjeeling

The Truth Of Bengal :   এই সময় গরম থেকে বাঁচতে ভ্রমনপিপাসুদের পাহাড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে আগের চাইতে কয়েক গুণ। বাংলার মানুষদের এখন স্বপ্নই হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা একটা সময় পাহাড়ের বুকে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করবেন। পাহাড়ে যাওয়ার কথা আসলেই সবার আগে যে নামটা মাথায় আসে তা হল পাহাড়ের রানি দার্জিলিং। দার্জিলিং এর কাছাকাছি এমন অনেক পাহাড়ি গন্তব্য আছে যেখানে শীতল হাওয়া, পরিবেশের শান্ত নিরিবিলি প্রাণবন্ত রূপ খুঁজে পাবেন। এখন দার্জিলিং যাওয়ার চেয়ে দার্জিলিং লাগোয়া যে সব অফবিট ডেস্টিনেশন রয়েছে সেখানে পর্যটকদের যাওয়ার ঝোঁক বেশি। এই দার্জিলিং শহরের মধ্যে পর্যটকরা যেমন টাইগারহিল, ঘুম স্টেশন, বাতাসিয়া লুপ, দার্জিলিং জু, ম্যাল, রোপওয়ে ঘুরে দেখেন তেমনি শহরের বাইরে ঘুরে দেখার সুযোগও হাতছাড়া করেন না । এমনই একটি গন্তব্য রয়েছে দার্জিলিং শহর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বের মধ্যে। যার নাম হল হ্যাপি ভ্যালি টি এস্টেট।

আচ্ছা আপনার কখনও ইচ্ছে হয় কি জানতে, দার্জিলিঙে কত ধরনের চা পাতা আছে, সেই পাতা তোলারও তো একটা প্রক্রিয়া আছে সেটা কিভাবে হয়, আবার সেই পাতা তুলে কিভাবে তা বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। এই সব কৌতূহলের উত্তর পেয়ে যাবেন দার্জিলিং থেকে ৩ কিমি দূরে অবস্থিত হ্যাপি ভ্যালি টি এস্টেটে গেলে। ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই টি এস্টেট হল দার্জিলিং এর দ্বিতীয় প্রাচীন টি এস্টেট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই চা বাগিচার উচ্চতা ২১০০ মিটার। প্রায় ১৭৭ হেক্টর জমির উপর সুবিস্তৃত এই চা বাগানে হারিয়ে যেতে চাইলে আপনি দার্জিলিং থেকে হাঁটা পথেই পৌঁছে যেতে  পারবেন চা বাগানে ঘেরা এই সবুজ উপত্যকায়। এখানে চা পাতার একটি কারখানাও রয়েছে। সেই কারখানার ভিতরে গিয়েই আপনি দেখতে পারবেন কিভাবে চা পাতার গাছ থেকে ঝুরি ঝুরি চা পাতা তুলে এনে সেখান থেকে প্যাকেট করে বাজারে সেই চা পাতা বিক্রি করার উপযোগী করে তোলা হয়। একপাশে ঘন চা বাগানের বাগিচা অন্য প্রান্তে চোখ গেলেই দূরের মেঘে ঢাকা পাহাড়। যদি মেঘ সরে যায় তাহলে মুহূর্তের মধ্যে দার্জিলিং শহর আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে। সত্যি প্রকৃতির এই মায়াবী রুপের দৃশ্য দার্জিলিং ছাড়া আর কোথায় বা দেখতে পাবেন। আবার আপনার ভাগ্য ভালো থাকলে দূরের মেঘ সরলেই আপনি দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা।

ভ্রমণের এই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য পৌঁছে যেতে হবে দার্জিলিং। আর দার্জিলিং শহর থেকে আপনি পায়ে হেঁটেই পৌঁছে যেতে পারবেন এই  চা বাগানে।

Related Articles