
The Truth of Bengal: ডুয়ার্সের হেন কোন জায়গা নেই যেখানে পর্যটকদের আনাগোনা নেই। ভ্রমণপিপাসু বাঙ্গালীরা সর্বদাই চান একটু নিরিবিলি পাহাড়ি উপত্যাকায় বেড়াতে যেতে। পশু, পাখি, জঙ্গল, নদী, পাহাড় সব মিলিয়ে ডুয়ার্স প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য ঘুরতে যাওয়ার লিস্টে সবার উপরে থাকে। আর ডুয়ার্সের মধ্যেই রয়েছে রাজাভাতখাওয়া । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা রাজাভাতখাওয়া গেলে আপনার দু দিনে মন ভরবে না। মনে হবে প্রকৃতির কোলে আরও দু দণ্ড থাকতে। এই ছোট্ট পাহাড়ি শহর আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা টাইগার রিজার্ভের ঠিক বাইরে অবস্থিত। যা জায়ন্তি থেকে ১৫ কিমি দূরে ।
রাজাভাতখাওয়া নামের পিছনে কারণ রয়েছে । একদা রাজাভাতখাওয়া ছিল কোচবিহারের রাজ্যপাটের অংশ। ইতিহাসের দিকে আর নাই বা গেলাম। রাজাভাতখাওয়া নৈসর্গিক দৃশ্যের পাশাপাশি বনদপ্তরের তৈরি মিউজিয়াম ও অর্কিড হাউস ও দেখতে পাবেন। এই মিউজিয়ামে বন্যপ্রাণীদের প্রতিকৃতি রাখা আছে। প্রজাপতি পার্ক ও রয়েছে এখানে। রংবেরঙের ডানা মেলে প্রজাপতিরা আপনার কান ঘেসে পেরিয়ে যাবে। বক্সা টাইগার রিজার্ভের রেকর্ডে এখনও পর্যন্ত বাহারি ডানা বিশিষ্ট ৪০০ টি প্রজাপতির দেখা মিলেছে।
শীতের মরশুম ছাড়াও রাজাভাতখাওয়া যাওয়ার সঠিক সময় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। পাহাড়ি নদী, প্রজাপতিদের মাঝে ছবি তুলতে যারা ভালোবাসেন তারা অবশ্যই যেতে পারেন রাজাভাতখাওয়ায়। ভাবছেন কি ভাবে যাওয়া যায়? কলকাতা থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যান আলিপুরদুয়ার সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে বা অটো তে পৌঁছে যান রাজাভাতখাওায়। রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্ট থেকে বক্সার জঙ্গলে ঢোকার অনুমতি পত্র নিতে হয়। তারপর টিকিট কেটে গাড়িতে ভ্রমণ করতে পারবেন বক্সা জঙ্গলে।