ভ্রমণ

হিমেল হাওয়া গায়ে মেখে চড়ুইভাতি,পৌঁছে যান হুগলির গড় মান্দারণে

The cold wind blows on the sparrows, they reach Hooghly Garh Mandaran

Truth of Bengal: বাংলায় বেশ ভালোই অনুভব করা যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। এই মরশুমে পিকনিকে যেতে বড়ই মন চাই। ভাবছেন কোথায় যাবেন? শীতের মরশুমে মিঠে রোধ গায়ে মেখে পৌঁছে যেতে পারেন হুগলির গড় মান্দারণে, যেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনাকে আকর্ষণ করবে। তাই দেরি না করে সপ্তাহান্তের ছুটি পেলেই ঘুরে আসুন প্রকৃতির মাঝে পিকনিকের এই সেরা স্পট থেকে। শীতের মরশুম আসা মানেই মনটা কেমন পিকনিকের জন্য উড়ু উড়ু করে বলুন। এই শীতে বেশ জমিয়ে বন্ধু বান্ধব বা প্রতিবেশীদের নিয়ে কোথাও গিয়ে পিকনিক করা।

একটু নির্জন গ্রাম্য জায়গায় পিকনিক করতে মন চাই সকলের। হিমেল হাওয়ার স্পর্শ পেলেই যেন আর বাড়িতে মন টেকেনা। তাই সপ্তাহান্তের ছুটিতে যদি চাইছেন কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে যেতে তাহলে পৌঁছে যেতে পারেন হুগলী জেলার গড় মান্দারণে। যে দিকেই তাকানো যায় সেখানেই সবুজ। এতো সবুজ দেখে মন এবং চোখ দুইয়েই প্রশান্তি অনুভূত হয়। নিরিবিলি শান্ত পরিবেশের মাঝে শুধু শীতল হাওয়ার শনশন শব্দ।

এই পুরো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে প্রায় ২০০ একর জমির উপর। এই জায়গার নাম পাওয়া গেছে বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসে। এই জায়গার ঐতিহাসিক গুরুত্ব কিছু কম নয়। এখানে রয়েছে একটি গাজি ও পীরের দরগা। বহু মানুষ এখানে আসেন পুণ্য সঞ্চয় লাভের আশায়। এই গড় মান্দারণ ঘেরা রয়েছে শাল সেগুন পিয়াল শিমুল দিয়ে। শীতকালে দূর দূরান্ত থেকে বন্ধু অথবা পরিবারের সঙ্গে অনেকে এই জায়গায় আসেন পিকনিক করার জন্য।

এখানকার প্রকৃতি বরাবরই আকর্ষণ করে পর্যটকদের। এক অদ্ভুত শান্তি মিশে আছে এই জায়গার বাতাসে। যেন রং তুলি দিয়ে আঁকা জীবন্ত ক্যানভাস। শীতের এই মিঠে রোদে প্রকৃতির মাঝে পাখিদের কলতান শোনা। মাঝে মধ্যে কানে ভেসে আসবে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ। এখানে অবস্থিত মাজার দর্শন পেতে গেলে আপনাকে ১০০ সিঁড়ি পেরিয়ে উঠতে হবে। এই মাজার দর্শন করতে সর্বধর্মসমন্বয়ে বহু মানুষ এখানে এসে ভিড় করে থাকেন।

এর পাশেই রয়েছে উঁচু ঢিবি। যা গড় নামে পরিচিত। আর এই গড়ের ঠিক পাশেই রয়েছে ছোট্ট এক জলাশয়। জলাশয়ের মধ্যে চড়া পড়ে গিয়েছে অনেকখানি। সেই চর দিয়ে যাতায়াত ও করা যায়। ভাবছেন কিভাবে যাবেন? হাওড়া থেকে আরামবাগগামী লোকাল ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে আরামবাগ স্টেশন। সেখান থেকে বাসে করে পৌঁছে যান কামারপুকুর। কামারপুকুর থেকে আরও একটি বাসে করে পৌঁছে যাওয়া যায় গড় মান্দারণ। এখানে থাকার জায়গা তেমন নেই, থাকতে গেলে আপনাদের আসতে হবে কামারপুকুর কিংবা জয়রামবাটিতে।

Related Articles