পাইনের বুক চিরে ছোটা রঙ্গীত, ‘দামে’র মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
The captivating natural beauty of 'Dame', bursting with color as the pine trees burst into bloom

Truth Of Bengal: শীত আসলেই বাঙালিদের ঘুরতে যাওয়ার হিড়িক বেড়ে যায়। এই শীতে কোথায় যাবেন ঠিক করেছেন? দার্জিলিং এর কাছেই রয়েছে আরও এক অফবিট ডেস্টিনেশন। যার নাম দামে। পাইন বন পাহাড়ে ঘেরা এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে আসলে আপনার সারা সপ্তাহের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
সাগরের গভীরতা কে ভয় পান অনেকে। অনেকেই চান পাহাড় ছুঁতে। পাহাড় প্রেমীদের মনে একটাই ইচ্ছে কবে তারা একটা বাড়ি বানাতে পারবেন পাহাড়ের কোলে। ঘন সবুজে ঢাকা পাহাড় আর সেই পাহাড়ের গা ঘেঁষে ভেসে বেড়াতে দেখা যায় সাদা মেঘ। সত্যি তারা সৌভাগ্য, যারা ঘুম থেকে উঠেই চোখের সামনে প্রকৃতির এই অপরূপ লীলা দেখতে পান। পাহাড়ি উপত্যকাগুলি এতটাই শান্ত হয় যে কান পাতলে শোনা যায় বয়ে যাওয়া বিশুদ্ধ বাতাসের শব্দ। আজ আপনাদের নিয়ে যাব এইরকমই এক পাহাড়ি গন্তব্যে।
যা একেবারে দার্জিলিং এর কাছেই অবস্থিত। নাম দামে। জায়গার নাম দামে হলেও একেবারে কম খরচে পৌঁছে যাওয়া যায় এই শান্ত নির্জনতায় ঘেরা পাহাড়ি ডেস্টিনেশনে। দার্জিলিং জেলার বিজনবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত এক ছোট্ট গ্রাম এটি। হোমস্টের ঘরে বসে হাতে দার্জিলিং টি নিয়ে দূরের পাহাড় ও মেঘের অসাধারণ দৃশ্যের সাক্ষী থাকা। পাহাড় মানেই পর্যটকদের কাছে এক অন্যরকম ভালোবাসা। রাত্রে বেলা পাহাড়ের কোন এক ঢাল থেকে নিচের দিকে তাকালে গ্রামের বাড়ি গুলির টিমটিম আলো দেখে মনে হয় জেন চারপাশে জোনাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর যে দিন পূর্ণিমা থাকে সেই তো চোখ সড়ে না। পূর্ণিমার রাতে পাহাড়ের সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা।
জানালার গায়ে শিশির বিন্দু, সকালে ঘুম ভাঙবে পাখিদের মধুর কলতান শুনে। রয়েছে পাহাড়ি নদী ছোট রঙ্গীত। যা নেমে আসছে পাইন বনের মধ্যে দিয়ে। এই নদীর প্রবাহপথে দেখা যায় নানা আকারের নুড়ি পাথর। এই নদীর জল পাথরের গায়ে ধাক্কা লেগে স্পর্শ করবে আপনার ত্বক। যদি মেঘ সরে যায় তাহলে দূরের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন সিকিমের বরফে ঢাকা পাহাড়। হোমস্টের চারপাশে নানা ধরনের অর্কিড। হোমস্টের পাশ দিয়ে এলাচ আর ঝাড় বনের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে এক সিঁড়ি পথ। সেই সিঁড়ি পথ দিয়ে উঠে নিজের পায়ে হেঁটে গ্রাম ঘুরে নতে পারবেন আপনি। সকালে সূর্যের সোনালী কিরণ যখন এসে পড়ে পাহাড়ের গায়ে পুরো পাহাড় হয়ে ওঠে সোনালী রঙের। ভাবছেন কিভাবে যাবেন? শিলিগুড়ি থেকে দুধিয়া, মিরিক, পশুপতি ফটক সীমানা হয়ে মানেভঞ্জনের দূরত্ব প্রায় ৭৮ কিলোমিটার। আর সেই মানেভঞ্জন বাজার থেকে ডান হাতে প্রায় ১ থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূরে এক ঢালু পথ নেমে গেছে। সেই ঢালু পথ ধরে এগোলেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই দামেতে।