ভ্রমণ

একঘেয়ে জীবন থেকে হাওয়া বদল চান? সবুজে মাঝে তারাফেনি বাঁধ

Tarafeni dam in the middle of green

The Truth of Bengal: দিন দিন বড় একঘেয়ে জীবন হয়ে উঠছে। এই একঘেয়ে জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হাওয়া বদল করা। চিকিৎসকেরাও বলছেন এদানিং কালে যারা মানসিক অবসাদে ভুগছনে তাদের অতি অবশ্যই একবার হাওয়া বদলে যাওয়া উচিত। ভাবছেন কোথায় যাবেন? প্রকৃতি তার সব টুকু দিয়ে যেন সাজিয়েছে ঝাড়গ্রামকে। তাই এবারের গন্তব্য ঝাড়গ্রামের তারাফেনি বাঁধ। শহরের একঘেয়ে জীবন ভালো লাগছে না ! একঘেয়েমি কাটাতে যেতে চান সবুজঘেরা কোনও নির্জন প্রান্তে ? তাহলে যেতেই পারেন ঝাড়গ্রামে। সবুজে ঘেরা মনোরম দৃশ্য আপনাকে মাতোয়ারা করে তুলবে। কি নেই এই জঙ্গলমহলে।

পাহাড়, নদী বাঁধ, গুহা, জলপ্রপাত এই সব কিছু রয়েছে ঝাড়গ্রামে। প্রকৃতি যেন তার সবটুকু দিয়ে তৈরি করেছে এই অঞ্চলকে। এই ঝাড়গ্রামের মধ্যে আছে বেলপাহাড়ি। এক সময় এই বেলপাহাড়ি ছিল আদিবাসীদের আঁতুড়ঘর। এই বেলপাহাড়িতে প্রতি বছর বহু বিদেশি দেশি পর্যটকরা আসেন বেড়াতে। শালের বন, সুবর্ণরেখা নদী, আদিম মানবের গুহা এত কিছু দেখার ডেস্টিনেশন রয়েছে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে। রয়েছে এক ছোট্ট বাঁধ ও যার নাম তারাফেনি ব্যারেজ। ঝাড়গ্রাম থেকে এই ব্যারেজের দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। আর বেলপাহাড়ি থেকে এই ব্যারেজের দূরত্ব ৭ কিলোমিটার।

এই ব্যারাজ থেকে অল্প স্বল্প জল ছাড়া হলেও বর্ষার সময় এই ব্যারেজের আশপাশ হয়ে ওঠে আরও সুন্দর। এই বাঁধ রয়েছে তারাফেনি নদীর উপর। বেলপাহাড়ির স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে এই ব্যারেজের জল বেলপাহাড়িতে পানীয় জলের প্রধান উৎস।  এক থেকে দু দিনের জন্য বেলপাহাড়িতে গিয়ে বাকি সব ডেস্টিনেশনের সঙ্গে এই বাঁধ থেকেও ঘুরে আসতে পারবেন আপনি। এই বাঁধের চারপাশের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। কিভাবে যাবেন এই বাঁধের সৌন্দর্য উপভোগ করতে? হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেনে করে আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে ঝাড়গ্রাম স্টেশন। সেখান থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যান বেলপাহাড়ি, আর বেলপাহাড়িতে নেমে টোটো ধরে পৌঁছে যান এই তারাফেনি বাঁধে।

Related Articles