
The Truth Of Bengal: নদিয়া জেলার বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই অভয়ারণ্য গড়ে তোলার কাজ শুরু হয় ১৯৫৮ সাল থেকে। ১৯৮০ সালে সরকারিভাবে বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত হয় বেথুয়াডহরি। এই অভয়ারণ্যের মোট আয়তন ১.২১ বর্গ কিলোমিটার। অল্প সময় নিয়ে যারা কাছেপিঠে ঘুরতে যান তাঁদের কাছে বেশ পছন্দের জয়গা বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য। সবুজ গাছগাছালিতে ভরা এই অভয়ারণ্যে আছে হরেক রকমের পাখি। শীতের সময় এখানে পরিযায়ী পাখির কলতান শুনতে পাওয়া যায়। আছে শজারু, মেছোবিড়াল, বনবিড়াল, বুনো খরগোশ, ময়ূর, ঘড়িয়াল, পাইথন, বেজি, ভাম প্রভৃতি প্রাণী। আছে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, ময়ূর।
তা ছাড়া বেথুয়াডহরি বিখ্যাত প্রজাতির প্রজাপতির সমারোহের জন্য। জঙ্গলের ভেতরে বনবাংলোয় রাত কাটানো যায়। এই অভয়ারণ্যের পরিবেশে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা হবে অন্যরকম। বর্ষার সময় এই অভয়ারণ্য ঘন সবুজে ছেয়ে ওঠে। কত রকমের গাছ আছে এখানে। সেই সব গাছ এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে মনোরম করে তুলেছে। এখানকার একটা অদ্ভুত শান্ত পরিবেশ আপনার মন ভাল করে দেবে। বাড়ির কাছে এই অভয়ারণ্যে যাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। শিয়ালদা থেকে লালগোলাগামী ট্রেনে বেথুয়াডহরি। তিন ঘণ্টা মতো সময় লাগে।
সড়কপথে কলকাতা থেকে বেথুয়াডহরির দূরত্ব মাত্র ১৩৬ কিমি। এসপ্ল্যানেড থেকে বাসে চেপেও যাওয়া যায়। শহরের কোলাহল থেকে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য খুব ভাল জায়গা। পরিবার নিয়ে এখানে নিশ্চিন্তে কিছুটা সময় কাটাতেই পারেন।
FREE ACCESS