ভ্রমণ

গরমের অস্বস্তি থেকে রেহাই পেতে পৌঁছে যান কার্শিয়াং এর ছোট্ট জনপদ অহলদারায়

Ahaldara Tourism

The Truth of Bengal: বঙ্গে বৃষ্টির দেখা আগামী ৫ মে মিললেও সেই বৃষ্টি বঙ্গবাসির কাছে কতটা স্বস্তির হবে তা বোঝা দায়। তাই গরমের দহনজ্বালা থেকে রেহাই পেতে ঘুরে আসুন দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং এর ছোট্ট জনপদ অহলদারা থেকে। পাহাড়, নদী, পাহাড়ের মাঝ বরাবর সূর্যাস্ত সূর্যোদয় এই সব কিছুই দেখতে পাবেন অহলধারা থেকে। ঘুম থেকে উঠে চোখ খুলেই যদি সামনে দেখেন উঁচু নিচু পাহাড়ের মাঝ বরাবর শরতের মেঘে ভেসে বেড়াচ্ছে, কি! এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে খাট থেকে নিচে পড়ে যাবেন বলুন। বিশ্বাসই করতে পারবেন না এত সুন্দর জায়গাও আছে এই বাংলাতে। উত্তরবঙ্গের বহু অজানা গন্তব্যের কথা এখনও জানতে বাকি আছে। আজ আমরা আপনাদের নিয়ে যাব দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং এর ছোট্ট জনপদ অহলদারাতে । এই ছোট্ট জনপদে একবার আসলে, বিপুল অর্থ খরচা করে আর সুইজারল্যান্ড যাওয়ার স্বপ্ন আপনি দেখবেন না।

প্রকৃতির এই দৃশ্য সত্যি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। সেলপু পাহাড়ে অবস্থিত একটি পাহাড়ি চূড়া। অহলদারায় রয়েছে একটি ভিউপয়েন্ট। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে আপনি কার্শিয়াং এর পুরো ভিউ দেখতে পাবেন। নীল আকাশের নিচে দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে উঁচু নিচু ঢেউ খেলানো পাহাড়। এর মধ্যেই কোন এক পাহাড়ের ঢালে বসে আপনি হাতে চায়ের কাপ নিয়ে শীতল শান্ত আবহাওয়ায় নিজের গা ভাসিয়ে দিতে পারবেন। আবার মেঘ সরলে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার অনন্য রূপও চোখের সামনে দেখতে পারবেন।চারিদিক দেখবেন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাইন বন। নিজের গতিপথে সুন্দর ভাবে একেবেঁকে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী। যে নদীর ধারে বসে আপনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়ে দিতে পারবেন। এই জনপদে থাকাকালীন আপনি দেখতে পাবেন এখানকার অধিকাংশ মহিলারাই প্রতিদিন সকাল হলে চলে যায় আশেপাশে থাকা চা বগানে, চা পাতা তোলার কাজে।

আবার সন্ধ্যে নামলে তারা সকলেই ঘরে ফিরে আসে দল বেধে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য সারাদিন বাইরে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও এই সব মহিলাদের মুখের নির্মল হাসি কেউ কেড়ে নিতে পারে না তাদের কাছ থেকে। এই অহলদারাতে প্রচুর সিঙ্কোনা চাষও হয়। নানা রঙের ফুলের বাহার দেখেও আপনার মন ভোরে উঠবে। এমন অনেক ফুলের সাথে আপনার প্রথম আলাপ হবে যার নাম ও হয়তো শোনেননি আপনি। এত সুন্দর পাহাড়ি ডেস্টিনেশন ঘুরে আসবেন কিভাবে ? ট্রেনে করে আপনাকে চলে আসতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন অহলদারা। এখানে থাকার জন্য পেয়ে যাবেন অনেক হোমস্টে। তাই রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রে আপনার কোন অসুবিধা হবে না।

Related Articles