
Truth Of Bengal: ক্যালেন্ডারে ডিসেম্বর হলেও তেমনভাবে শীতের দেখা নেই এখনও। তবে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাঁকিয়ে শীতের আমেজ অনুভূত হতে পারে। আর এই শীতের মরশুমে ভাবছেন কোথায় যাবেন? যেতেই পারেন দার্জিলিং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক পাহাড়ি গন্তব্যে।
গাভির মতো চড়ে বেড়ায় মেঘ। আপনি নিজের হাতে বা কাপড়ের আঁচলে মেঘ বেঁধে বাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন। শীতের মরসুমে এই পাহাড়ি উপত্যকা হয়ে ওঠে আরও সুন্দর। দার্জিলিং থেকে এই পাহাড়ি উপত্যকার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটারের মতো। এই পাহাড়ি গন্তব্যকে মিনি ভূস্বর্গ বললেও কোন ভুল হবেনা। হাতে সময় নিয়ে দু থেকে ৩ দিনের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন এই রঞ্জু ভ্যালি থেকে।
যেখানে গেলে আপনার সারা সপ্তাহের ক্লান্তি নিমেষের মধ্যে দূর হয়ে যাবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই রঞ্জু ভ্যালির উচ্চতা ৬ হাজার কিলোমিটার। চারপাশে রয়েছে সবুজের সমাহার, মাঝে মধ্যে মেঘ সরলে উঁকি মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা। নিরিবিলি শান্ত এই উপত্যকায় বেশি পর্যটকদের আনাগোনা নেই। এই পাহাড়ি উপত্যকায় সারাদিন আপনি ঘুরে বেড়াতে পারবেন পায়ে হেঁটে। এই পাহাড়ি উপত্যকায় অবস্থিত হোমস্টে গুলি একেবারে ছিমছাম। এখানে রয়েছে দুটি পাহাড়ের মতো ঢিবি, যেখানে বসে নিচের পুরো উপত্যকা দেখা যায়। স্থানীয় ভাষায় এই পাথর দুটিকে বলা হয় বড় পাথর। আবার অনেকে এঁকে রঞ্জু ভ্যালি ভিউপয়েন্ট ও বলে থাকেন। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা মূলত চাষবাস করে থাকেন। পাহাড়ের ধাপ কেটে কেটে নেমে যাওয়া সরু রাস্তা ধরে হাঁটা, এ এক অন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী এনে দেবে আপনাকে।
এই রঞ্জু ভ্যালি শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে দার্জিলিং পাহাড়ের মংপু সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন এর অন্তর্গত এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। পাহাড়ি উপত্যকা মানেই সেখানে পাখিদের আনাগোনা, রঙবেরঙের প্রজাপতির দেখা। প্রতিটি বাড়ির মধ্যেই রয়েছে বিশাল বড় বাগান, যেখানে নানা ধরনের ফুলের সমাহারের পাশাপাশি দেখা যায় বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড। এখানে এসে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুই দেখতে পাবেন আপনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে হোমস্টের জানালার মধ্যে সূর্যের প্রতিবিম্ব দেখতে পাওয়া যায়। পাহাড়ি জঙ্গলের ভিতর বুক চিড়ে ছোট এক কাঠের সেতুর নীচ দিয়ে বয়ে গেছে পাহাড়ি নদী। রঞ্জু ভ্যালি যেতে হলে আপনাকে এনজেপিতে নেমে সেখান থেকে শেয়ারে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে হবে।