
The Truth of Bengal: পুজো আসছে। পুজোর সময়ে যাঁরা ভিড় এড়াতে নিরালায় থাকতে চান, তাঁরা যেতে পারেন রায়মাটাংয়ে। রায়মাটাংয়ে রয়েছে একটি নদী। সেই নদীর নামও রায়মাটাং। রায়মাটাং কয়েক বছর আগে পর্যটন কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। এখানে দেখার মতো আছে অনেক কিছুই। বিশেষত, সবুজ গাছগাছালি। এছাড়া দেখার মতো দিগন্তে বিস্তৃত চা-বাগান।আর পাহাড় তো আছেই।নির্জনতা আপনার শরীর-মনকে বিশ্রাম দেবে।
রায়মাটাংয়ের নাম পর্যটকদের অনেকেই শোনেননি। এই গ্রামটি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত ছবির মতো গ্রাম। স্থানীয় মানুষজন বনভোজনের জন্য এখানে আসেন। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত রায়মাটাংয়ের রাতের রূপ মোহিনী। এখানকার নির্জনতা আকাশভরা তারার নীচে বসে বিশ্বভরা প্রাণকে অনুভব করতে সহায়তা করবে। রায়মাটাংয়ে থাকার জন্যে কয়েকটি হোম স্টে আছে। সপরিবারে থাকতে পারেন ওই হোম স্টেগুলিতে।
কীভাবে যাবেন ডুয়ার্সের রায়মাটাংয়ে? তার আগে জানাই, রায়মাটাং আলিপুরদুয়ার থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে বক্সা টাইগার রিজার্ভের পশ্চিমদিকে অবস্থিত। কলকাতা কিংবা হাওড়া থেকে ট্রেনে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত যান। আলিপুরদুয়ার থেকে ভাড়ার গাড়ি মিলবে কালচিনি যাওয়ার। কালচিনি থেকে যেমন ভাড়ার গাড়িতে রায়মাটাংয়ে যাওয়া যায়, আবার আলিপুরদুয়ার থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করেও রায়মাটাংয়ে যেতে পারেন। আলিপুরদুয়ার থেকে রায়মাটাং যেতে সময় লাগবে বড়জোর দেড় ঘণ্টার মতো।