শহুরে জটিলতা ছেড়ে এই নির্জনতায় হারিয়ে যেতে মন চাইলে পৌঁছে যান সুন্দরবনের ছোঁয়া পিয়ালি দ্বীপে
Piali Island, touching the Sundarbans

Truth of Bengal: মাতলা নদী বয়ে চলেছে আপন গতিপথে। মাঝখানে সবুজে ঘেরা, নির্জন পরিবেশ। শহুরে জটিলতা ছেড়ে এই নির্জনতায় হারিয়ে যেতে মন চাইলে পৌঁছে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার পিয়ালি দ্বীপে। এখানে আসলে ফিশিং, রিভার র্যাফটিং এবং বোটিং করার সুযোগ পেয়ে যাবেন ভ্রমণপিপাসুরা। বাংলায় পর্যটনের অন্যতম সেরা জায়গা হল সুন্দরবন। দূর থেকে ঘন ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ফাঁক থেকে দেখা যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দুটি চোখ জলজল করতে। কখনও একডাল থেকে অন্য ডালে লাফ দিচ্ছে বানরের দল, নৌকো করে কিছুদূর এগোলেই একপাল হরিণ অবাক হয়ে তাকাচ্ছে আপনারই দিকে।
সুন্দরবন এমন একটি জায়গা যেখানে জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘ, তাই ভয় সাথে নিয়ে ঘুরতে হয় এখানে। সুন্দরবন না গিয়েও যদি এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ছোঁয়া আর প্রশান্তি পাওয়া যায় অন্য কোন জায়গায় গিয়ে তাহলে কেমন হয়? সুন্দরবনের প্রবেশপথ বলা হয় পিয়ালি দ্বিপকে। মাথার উপর নীল আকাশ, চারিদিক সবুজে ঘেরা, নিজের গতিপথে চলে গিয়েছে পিয়ালি নদী। এই পিয়ালি নদীর উপর রয়েছে দীর্ঘ এক সেতু। সেই সেতু ধরে সামনের দিকে এগোলেই পিয়ালি দ্বীপে পৌঁছে যাওয়া যায়। এই দ্বিপকে ঘিরে রয়েছে মাতলা ও পিয়ালি নদী।
এই জায়গাতেই মাতলার বুকে মিশে যেতে দেখা যায় পিয়ালি নদীকে। শহুরে জটিলতার ছেড়ে গ্রামের পথ ধরে এগোলেই দেখা পাওয়া যায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। ছুটি পেলেই যদি শান্ত প্রকৃতির মাঝে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে, কিংবা দু চোখ ভরে যদি সবুজ দেখার ইচ্ছে জাগে মনে তাহলে অবশ্যই পৌঁছে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার পিয়ালি দ্বীপে। শীতকাল আসলে পিয়ালি নদীর আকর্ষণ হয় দেখার মতো। বৃষ্টি পড়লেই নদীর পারিপার্শ্বিক দৃশ্যপট দেখতে দেখতে সময় কেটে যায় আপনা আপনি। এখানে বহু অজানা পাখিদের আনাগোনা লেগেই থাকে।
সবুজ ম্যানগ্রোভের বনাঞ্চল দেখে এক নিমেষেই সারা সপ্তাহের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। প্রকৃতির নির্জনতায় পক্ষী দেখতে যারা ভালোবাসেন তাদের কাছে এই জায়গা স্বর্গের স্বরূপ। কলকাতা থেকে এই আইল্যান্ডের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। এই আইল্যান্ড যেতে গেলে শিয়ালদহ থেকে দক্ষিনী শাখার ট্রেন ধরে পৌঁছে যেতে হবে দক্ষিণ বারাসাত স্টেশন। সেখান থেকে টোটো বা ট্রেকারে করে পৌঁছে যাওয়া যায় পিয়ালি দ্বীপে। এখানে থাকার বহু জায়গা রয়েছে, আর যারা একটু অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তারা টেন্টে নদীর ধারেও থাকতে পারেন।