
- জম্বুদ্বীপ
- ম্যানগ্রোভ জঙ্গল
- দক্ষিণ ২৪ পরগণা
The Truth of Bengal: একদিন বা দু’দিনের জন্য নয়। কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘুরতে যাওয়ার জন্য এক অন্যরকম জায়গা। ওই জায়গাটিতে মানুষের কোনও বসবাস নেই। ফলে থাকার জায়গা নেই। তাই বড় পরিকল্পনা করে সেখানে যাওয়ার সুযোগ নেই। বঙ্গোপসাগরের বুকে ছোট্ট একটি দ্বীপ। ফ্রেজারগঞ্জের ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের বুকে আছে দ্বীপটি। নাম জম্বুদ্বীপ। এটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলও। দ্বীপটির মোট আয়তন ১৯৫০ হেক্টর।
দ্বীপটির চারিদিকে আছে সাদা বালির তট। কাজুবাদামের জঙ্গল রয়েছে এই দ্বীপে। নির্জন এই দ্বীপে আছে নানা প্রজাতির পাখি। দুই দশক আগে পর্যন্ত মাছধরার মরসুমে এই দ্বীপে মৎস্যজীবীরা অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করতেন মাছ শুকোনোর জন্য। অল্প কয়েকদিনের জন্য তাঁরা থাকতেন সেখানে। তবে পাকাপাকি থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই এই দ্বীপে। ২০০২ সাল থেকে এই দ্বীপে মৎস্যজীবীদের সমস্তরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করে দেয় প্রশাসন। এই দ্বীপে যেতে গেলে একমাত্র বাহন ভুটভুটি। বকখালি লাগোয়া ফ্রেজারগঞ্জ থেকে সেই যাত্রার ব্যবস্থা রয়েছে। ভটভটি ভাড়া নিয়ে ওই দ্বীপে গেলে মাঝি ঘুরিয়ে আনবেন কয়েক ঘণ্টার জন্য।
জলপথ হলেও জম্বুদ্বীপে যাওয়ার নির্দিষ্ট পথ আছে। প্রথমে এডওয়ার্ড ক্রিক ধরে ভটভটি এগিয়ে যাবে। খাঁড়ি ধরে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন দুই পাড়ে ঘন ম্যানগ্রোভ জঙ্গল। কিছুটা যাওয়ার পর আসবে সমুদ্র। সমুদ্রপথে সেই নৌ-যাত্রা প্রথমদিকে একটু ভয় ধরাবে। তবে কিছুক্ষণ পর একটা অন্য রকম রোমাঞ্চ যাবতীয় ভয় দূর করে দেবে। ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন জম্বুদ্বীপে। কয়েক ঘণ্টা দ্বীপের চারিদিকে ঘুরে ফিরে আসুন বকখালিতে। বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ ঘুরতে গিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য জম্বুদ্বীপ ঘোরা এক অন্য রকম স্মৃতি হয়ে থাকবে। বকখালি ঘুরতে গিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘুরে আসতে পারেন জম্বুদ্বীপ থেকে।