ভ্রমণ

চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরা দেয় রামজিতে

Kanchenjunga before your eyes, natural beauty is captured in Ramji

Truth Of Bengal: ভ্রমণে যেতে চান? ভাবছেন কোথায় যাওয়া যায়? পৌঁছে যান উত্তরবঙ্গে, না দার্জিলিং বা অন্য কোথাও যাওয়ার কথা বলছিনা, বলছি দার্জিলিং এর খুব কাছেই অবস্থিত আরও এক নিরিবিলি নির্জনতায় ঘেরা ডেস্টিনেশনের কথা, যেখানে গেলে আপনার মনের সব দুঃখ কষ্ট নিমেষের মধ্যে দূর হয়ে যাবে।

ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন, সেখান থেকে মাত্র ৪০ টাকা ভাড়া দিয়ে পৌঁছে যান দার্জিলিং মোড় আর সেই দার্জিলিং মোড় থেকে শেয়ারে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান সুখিয়া। না, এখানেই শেষ নয়, আসল গন্তব্যে তো এখনও পৌঁছলেনই না। শেয়ারে গাড়ি চেপে পৌঁছে যান সুখিয়া আর সেখান থেকে আজ ডেস্টিনেশন রামজি। এই সুখিয়াপোখরি থেকে রামজির দূরত্ব ২ কিলোমিটার। গাড়িভাড়া পড়বে মোটামুটি ২০০ টাকার মধ্যে। সেই গাড়ি আপনাকে সোজা গিয়ে নামাবে হোমস্টের সামনে। রুমে ঢুকেই দেখতে পাবেন ব্যালকনি থেকে দেখা যাচ্ছে দূরের সবুজে ঘেরা পাহাড় আর মেঘেদের আনাগোনা।

বর্ষা, শীত সব ঋতুতেই এই পাহাড়ি গ্রাম লাগে অসাধারণ। পাহাড়ে নিজেদের একটি বাড়ি থাকুক এটা সকলেই চান, সেই বাড়ি থেকে হাতে গরম গরম দার্জিলিং টি নিয়ে বাইরের প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানো। এই ইচ্ছে যে কোন পাহাড় প্রেমীদের। পায়ে হেঁটে ঘুরে নিন রামজি বস্তি। দার্জিলিং থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে এই রামজি বস্তি। একেবারে নিস্তব্ধ গ্রাম, দূরের পাখিদের কলতান ভেসে আসছে কানে। চারিদিক সবুজে ঘেরা, যা চোখে দেখে একটা শান্তি অনুভূত হয়। এতই শান্ত এই জায়গা যে শহরের কোলাহল ছেড়ে ২ দিনের জন্য এই জায়গায় থাকতে আসলে আপনার হৃদয় জুড়িয়ে যাবে।

দূরে পাহাড়ের উপর জমাট বেঁধে থাকছে মেঘ, সেই মেঘ সরলেই দেখা যাবে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ। রোদ যখন এসে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার উপরে তখন মনে হয় যেন হীরের মুকুটের মতো জ্বলজ্বল করছে এই শ্বেতশুভ্র পাহাড়। পায়ে হেঁটেই পৌঁছে যেতে পারবেন এক ছোট্ট মন্দিরে। যেখানে বিরাজ করেন মহাদেব। এই মন্দিরের আশপাশ ভরা রঙবেরঙের নানা পতাকা দিয়ে। মন্দির পেরিয়ে এসেই এক সরু গলির মতো পথ পড়বে আপনার সামনে, ঠিক রূপকথার গল্পে যেমন রাস্তা আঁকা থাকতো দেখে যেন মনে হবে সেই রাস্তা। সত্যি সবুজের ঘেরাটোপে অসাধারণ এই জায়গা। রাতে হোমস্টের জানালা দিয়ে দেখা যায় পাহাড়ের পুরো নিচটা, মনে হয় যেন রাতের আকাশের তারাগুলি নেমে এসেছে মাটিতে। তাই দেরি না করে এই শীতের মরসুমে ঘুরে আসুন পাহাড়ি এই ছোট্ট গ্রাম রামজি থেকে।

Related Articles