
The Truth of Bengal: হাতে সময় কম? সেজন্যে দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে পারছেন না? সেক্ষেত্রে কাছেপিঠে বেড়াতে যেতে পারেন। দিনদুয়েক নিশ্চিত বিশ্রামে যদি কাটাতে চান, তাহলে সপরিবারে ঘুরে আসতে পারেন পুরুলিয়ার রঞ্জনডি বাঁধে। এটি যোগমায়া সরোবর হিসেবেও পরিচিত। যোগমায়া সরোবরে গেলে আপনি যেমন স্বচক্ষে দর্শন করতে পারবেন প্রকৃতির মায়াবী রূপ, তেমনই মনের শান্তি ফিরিয়ে দেবে অপার নির্জনতা।
রঞ্জনডি বাঁধ কিংবা যোগমায়া সরোবরের আশেপাশেই আছে কয়েকটা গ্রাম। নাগরিক জীবন থেকে মুক্তিলাভ করে যদি গ্রামীণ জীবনের সারল্যলাভের অভিজ্ঞতা পেতে চান, সেক্ষেত্রেও যোগমায়া সরোবর হতে পারে আপনার আদর্শ গন্তব্য। যোগমায়া সরোবর কিংবা রঞ্জনডি বাঁধের চারপাশের সবুজ বন আপনার চোখকে আরাম দেবে। কাছেপিঠে রয়েছে কয়েকটা পাহাড়ও। বছরের যে কোনও সময়েই যোগমায়া সরোবরে যাওয়া যেতে পারে। এটি পিকনিক করারও আদর্শ জায়গা।
রঞ্জনডি বাঁধ কংসাবতী নদীর ওপর অবস্থিত। সেচের জন্যে এই বাঁধটি তৈরি হয়েছিল ১৯৭০ সালে। যোগমায়া সরোবর সত্তক দশক থেকেই পুরুলিয়া অন্যতম জনপ্রিয় একটি পর্যটনস্থল। যোগমায়া সরোবর বা রঞ্জনডি বাঁধ ২ দশমিক ৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। শূন্য দশমিক ৬৬ মিলিয়ন ঘনমিটার জলধারণের ক্ষমতা রয়েছে এই বাঁধের। আর রঞ্জনডি বাঁধের প্রাচীর এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ, উচ্চতা ৪৮ মিটার।
যোগমায়া সরোবরে সপ্তাহান্তের ভ্রমণে সপরিবারে বেড়িয়ে পড়তে পারেন। পুরুলিয়ার কাশীপুর শহর থেকে রঞ্জনডি বাঁধের দূরত্ব ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এছাড়া দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়েও যেতে পারেন যোগমায়া সরোবরে। যোগমায়া সরোবর ঘুরতে গেলে থাকতে পারেন পঞ্চায়েত সমিতির গেস্ট হাউসে। আরেকটা কথা, যোগমায়া সরোবরে বেড়াতে গেলে নৌবিহার করতে ভুলবেন না একেবারেই।