ভ্রমণ

ঘুরে আসুন সবুজের মোড়া পাহাড়ে মাঝে উষ্ণ জলের কুণ্ড ওড়িষ্যার গোপালপুর-চাঁদিপুর

Gopalpur-Chandipur in Odisha tourism

The Truth of Bengal: বাংলার পাহাড়-সাগর তো অনেক দেখেছেন,এবার কী বাংলা ছাড়িয়ে ভিনরাজ্যে যাবেন ? সোনালী বালুকাবেলায় একটু সময় কাটাতে চান ? সবুজের মোড়া পাহাড়ের মাঝে যদি আপনি উষ্ণ জলের কুণ্ড চাক্ষুষ করতে চান,তাহলে আপনাকে যেতেই হবে পাহাড়পুরে। পাহাড়ি শহর  তপ্তপানির তল্লাটে আপনি একবার গেলে উপলদ্ধি করতে পারবেন। কত গভীরে রয়েছে সৌন্দর্য।তাহলে আর সময় নষ্ট না করে চলুন ঘুরে আসি ওড়িষ্যার গোপালপুর-চাঁদিপুর থেকে। বাঙালি মাত্রই পছন্দ করে দার্জিলিং-বা দিঘা। কিন্তু জানেন কী বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে উড়িষ্যায় গেলে শুধু পুরী নয়, রয়েছে আরও কিছু সৌন্দর্যভূমি। যার মধ্যে প্রথমেই আপনাকে আসতে হবে গোপালপুরে। পর্যটকদের কাছে অতি জনপ্রিয় এই সাগর সৈকত। উদ্দাম ঢেঊ, শান্তনীল সাগর পাড় এই গোপালপুরকে অনন্য টাচ দিয়েছে। যাঁরা সোনালী বালুতটে হেসেখেলে বেড়াতে চান তাঁদের কাছে স্বর্গরাজ্য গোপালপুর। গোপালপুর থেকে ঘুরে আসতে পারেন নানা গন্তব্যে।

৩০কিমি দূরে পতি সোনাপুর এক নির্জন সাগরবেলা।পুরুষোত্তমপুরের কাছে রুশিকুল্যা নদীর পাড়ে তারাতারিণীতে চলে আসুন। সামনেই পাহাড়চুড়োয় তারাতারিণী মন্দির। ১০০০ সিঁড়ি ভেঙে পৌঁছে যান ওড়িশার শক্তিপীঠে।  এখান থেকে  ১৬ কিমি দূরে রয়েছে প্রাচীন গোপালপুর বন্দর। আর ১৮ কিমি দূরে রয়েছে  ধবলেশ্বর মন্দির ও সৈকত চমৎকার। নির্জন সাগরপাড়, বিরামহীন ঢেউয়ের  মাঝে আরও একবার নিজের শৈশবে হারিয়ে যাওয়ার সেরা ঠিকানা ওড়িশার চাঁদিপুর। সমুদ্রের সঙ্গে সখ্যের পর  বেরিয়ে পরুন চাঁদিপুরের আশেপাশে। মাত্র ২ কিমি দূরে বুড়িবালাম নদীর তীরে। এখানেই বুড়িবালাম মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। কিছুটা দূরেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র। সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। তাই চলে আসুন নদীর পাড়ে।

ভারাক্রান্ত মন নিয়েএবার চলে আসুন নীলগিরি রাজবাড়ি। জগন্নাথ মন্দিরটিও দেখে নিন। তারপর  চলে আসতে পারেন পঞ্চলিঙ্গেশ্বর।  চাঁদিপুর থেকে ৪৫ কিমি দূ্রে রয়েছে এই অপরূপ প্রান্তর। প্রায় ২৪০টি সিঁড়ি ভেঙে পাহাড়চুড়োর খাঁজে বয়ে আসা ঝর্নার জলপূর্ণ কুণ্ডে হাত ডুবিয়ে পঞ্চ শিবলিঙ্গ। এখান থেকে নীচের আসবুজ প্রকৃতি অসাধারণ। সবুজে আঁকা পাহাড়পুর।ওড়িশার গঞ্জাম জেলায়,পূর্বঘাট পাহাড়ের কোলে বসানো শীতমোড়া শহর। শীতের শহরের প্রধাণ আকর্ষণ উষ্ণ জলের কুণ্ড। তাই এই পাহাড়ি শহরের নাম তপ্তপানি। এখানেই পূজিতা হন দেবী কান্দিমাতা। বিশ্বাস, উষ্ণ কুণ্ডেস্নান করলে পুণ্য ছাড়াও নানা রোগমুক্তি ঘটে। তপ্তপানি থেকে ৩২ কিমি দূরে চলে আসুনচন্দ্রগিরি। শাল-মহুয়ার ঠাসবুনোটে মোড়া এক তিব্বতি কলোনি।সব মিলিয়ে উড়িষ্যার এই প্রাণজুড়োনো প্রান্তর যে আপনার একঘেয়েমি কাটাবে সেকথা দিতেই পারি।

Related Articles