
Truth of Bengal: মধ্যপ্রদেশের বাকি টাইগার রিজার্ভে যেমন পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা যায় তেমনভাবে পান্না জাতীয় উদ্যানে দেখা যায়না ততো ভিড়। তবে প্রকৃতি এই জাতীয় উদ্যানকে সাজিয়েছে মন খুলে। ঘন সবুজে ঢাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে চোখ ও মনে শান্তি অনুভূত হবে। বছরের যে কোন ঋতুতেই যাওয়া যায় পান্না জাতীয় উদ্যানে। তবে বর্ষার সময় গেলে এই জাতীয় উদ্যানকে দেখে মনে হবে যেন সবুজ রং ও হার মানাচ্ছে।
মূলত মধ্যপ্রদেশের দুটি জেলা পান্না এবং ছতরপুর জুড়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ বর্গকিমি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই জাতীয় উদ্যান। এই জাতীয় উদ্যানের প্রধান আকর্ষণ হল বাঘ। বাঘের পাশাপাশি এখানে দেখা যায় লেপার্ড ও। তবে বাঘ কিংবা লেপার্ড যেই হোক না কেন তাঁদের নিজের ইচ্ছের উপর নির্ভর করছে তারা আপনাকে দেখা আদেও দেবে কিনা। গভীর জঙ্গলে ঘেরা এই অঞ্চলে বাঘ দেখতে হুড খোলা গাড়িতে সাফারি করে থাকেন পর্যটকরা।
এই জঙ্গলে সাফারি করার সময় মন খুলে উপভোগ করে নিতে পারবেন জঙ্গলের রূপ, রস, বর্ণ ও গন্ধ। বাঘ আর লেপার্ড ছাড়াও পান্না জঙ্গলে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরে বেড়ায় চিতল, নীল গাই, বারাশিঙা। এই জঙ্গল সাফারি করার সময় দেখে নিতে পারবেন নানা ধরনের অজানা পাখিদের আনাগোনা। যাদের শহরে দেখা যায় না, কেবল দেখা যায় পান্নার মতো কোন এক গভীর জঙ্গলে। এখানে জঙ্গল সাফারিরি জন্য আছে দুটি গেট। দিনে দু বার পর্যটকরা জঙ্গলে প্রবেশ করার সুযোগ পান। সন্ধ্যে নামলেই জঙ্গল সাফারির দুই গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।