পাহাড়ের ঢালে দার্জিলিং টি মনোরম পাত্তাবং চা বাগান

Truth of Bengal: ইটকংক্রিটের এই বেড়াজালে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছেন? কোথাও ভাবছেন ১ থেকে ২ দিনের জন্য ঘুরতে যাবেন? পৌঁছে যান উত্তরবঙ্গের কোলে আরও এক নতুন ঠিকানার খোঁজে। যেখানে গেলে প্রকৃতির অসাধারণ ভিউ ভাসবে আপনার চোখের সামনে।

দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপূজো সব শেষ, আপামর বাঙালিদের মন খারাপের পালা চলছে এখন। শুরু হয়ে গেছে স্কুল অফিস, নেই আর ছুটি, আবার অপেক্ষা সেই বড় দিনের ছুটির জন্য। তবে সপ্তাহান্তের ছুটি তো আছে, যাবেন নাকি উত্তরবঙ্গে? ২ দিনের জন্য যেতেই পারেন উত্তরবঙ্গের কোলে অবস্থিত আরও নতুন ঠিকানায়, ভাবছেন সেই নতুন জায়গা কোথায়? রয়েছে দার্জিলিং এ যার নাম পাত্তাবং চা বাগান।

পাহাড়ের ধাপে ধাপে নেমে গেছে সবুজ চা বাগান, দেখে মনে হবে যেন সবুজ চাদরে ঢেকে গেছে পুরো উপত্যকা। সেই চাবাগানের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে সরু রাস্তা। ভাবুন একবার আপনার গা ঘেষে পেরিয়ে যাচ্ছে মেঘ আর সেই মেঘ ঠেলে আপনি চা বাগানের সরু রাস্তা ধরে আপন মনে গান শুনতে শুনতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন, হাতে দার্জিলিং টি।  পুরো হিন্দি সিনেমার সিন মনে পড়ে গেল বলুন! পাহাড়ি পথের ধারে দেখা যায় নানা রঙের পতাকা।

সেই পতাকা পাহাড়ের শীতল হাওয়ায় যখন দোল খেতে দেখবেন, মনে হবে যেন কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে এই মন মুগ্ধকর দৃশ্য এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি। যদি জীবনে কখনও চা পাতা হাতে নিয়ে দেখননি, তাহলে পাত্তাবং চা বাগানে এসে অবশ্যই চা পাতা কিভাবে তোলা হয় বা চা পাতার ধরণ কিরকম সবই হাতে ধরে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাবেন। আসছে শীতের মরশুম।

এই মরশুমে পাহাড়ে যাওয়ার মজায় আলাদা, পাহাড়ের মোহময়ী রূপ দেখে আপনার আর বাড়ি ফিরতে মন চাইবেনা। পাত্তাবং চা বাগান থেকে দূরে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখতে লাগে অপূর্ব। যারা জীবনে অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তারা এখানে ট্রেক করার সুযোগ ও পেয়ে যাবেন। দার্জিলিং শহর থেকে এই পাত্তাবং টি গার্ডেনের দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। কিভাবে যাবেন ভাবছেন? ট্রেনে করে এনজেপিতে নেমে সেখান থেকে দার্জিলিং গামী কোন এক গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যাওয়া যায় এই পাত্তাবং টি গার্ডেনে।