
Truth Of Bengal : বাঙ্গালীদের বেড়ানো মানেই সবার আগে মনে পড়ে দিপুদার কথা। তবে দিপুদা ছাড়াও উত্তরকন্যাই লুকিয়ে রয়েছে এমন বহু অফবিট ডেস্টিনেশন, যেখানে গেলে মন প্রাণ একেবারে জুড়িয়ে যায়। অফবিটের নেশাই এখন ভ্রমণ পিপাসুরা খুঁজে চলেছেন একের পর এক নিত্যনতুন জায়গা। আর এইরকমই এক অফ বিট ডেস্টিনেশন হল পেডং। কালিম্পং জেলার ছোট্ট গ্রাম এটি। খুব বেশি পরিচিত না হলেও প্রকৃতি তার সবটুকু দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে এই পাহাড়ি গ্রামকে।
কালিম্পং থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই পেডং গ্রাম। কালিম্পং থেকে আলাদা হয়ে যে রাস্তা সিকিমের দিকে চলে গিয়েছে সেই রাস্তাতেই এক প্রান্তে ঘুমিয়ে রয়েছে এই গ্রাম। যারা চান প্রকৃতির শান্ত পরিবেশে একাকী সময় কাটাতে তারা অবশ্যই ঘুরে আসুন পেডং থেকে।
সবুজে ঘেরা এই পাহাড়ি উপত্যাকা দেখলে পর্যটকদের মন ছুয়ে যাবে। এখানে দেখা পাওয়া যায় বহু হিমালয়ের পাখিদের। তাদের ডাক শুনলেই নিমেষের মধ্যে মন চনমনে হয়ে ওঠে। এখানে মেঘেরা চড়ে বেরায় গাভীর মত। যদি আকাশ পরিস্কার থাকে তাহলে দূর থেকে দেখা যায় শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। এছাড়াও আপনি চাইলে পেডং এর কোন এক পাহাড়ের ঢালে বসেই দেখতে পাবেন দার্জিলিং, সিকিম, ভুটান এবং তিব্বতের কিছু অংশ। যত রাত হবে ততো পাহাড়ের দৃশ্য হয়ে উঠবে মায়াময়ী। আর যদি হয় পূর্ণিমা তাহলে তো কথাই নেই। পূর্ণিমার রাতে আকাশ হয়ে উঠবে স্বর্গীয়।
মাঝে মধ্যে কানে ভেসে আসবে তিস্তার অবিরাম বয়ে চলার শব্দ। এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো ১৮৭৩ সালে তৈরি হওয়া মনেস্ট্রি। ভাবছেন কিভাবে যাবেন? শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে উত্তরগামী ট্রেনে চেপে পৌঁছে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। আর সেখান থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান পেডং এ। এখানে থাকার জন্য পেয়ে যাবেন বেশ কিছু গেস্ট হাউস হোমস্টে এবং রিসর্ট । তাই দেরি না করে শীতের শেষের আমেজ টুকু চুটিয়ে উপভোগ করার জন্য পৌঁছে যান কালিম্পং এই ছোট্ট গ্রামে।