
The Truth of Bengal: চারপাশে সবুজ চা বাগান ঘেরা আর মাঝ খান দিয়ে চলে গিয়েছে একফালি সরু রাস্তা। সেই রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে আপনি চাইলে চা বাগানে ঢুকে চা পাতাও তুলতে পারবেন। শুধু পাহাড়ি পরিবেশের শোভা নয়, প্রকৃতির কোলে পেয়ে যাবেন ইতিহাসের গন্ধ। নিরিবিলি পরিবেশে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে সাহেবের মত চেয়ারে বসে বাতাসের শীতল হাওয়া খাওয়ার অনুভুতিও পেয়ে যাবেন এখানে। এত কিছু শোনার পর জায়গা সম্পর্কে মনে কৌতূহল জাগারই কথা।
জলপাইগুড়িতে গুরুমারা জাতীয় উদ্যানের একদম সামনাসামনি রয়েছে বড়দীঘির বড় বাংলো। যে বাংলোর পরতে পরতে রয়েছে কেবলই ব্রিটিশ আমলের ইতিহাসের ছোঁয়া। ইতিহাসের পাতা ওলটালে দেখা যাবে ভারতের প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং ১৮৫৮ সালে এই বাংলোতে এসেছিলেন। লন্ডনের স্ট্যান্ড ফ্যান, শিকাগোর টেলিফোন, ব্রিটিশ আমলে সাহেবদের খাওয়ার পরিবেশন করার সময় যে রুপোর ব্যবহার করা হত সেই সব কিছুই রয়েছে এই বাংলোতে। বরদিঘির বড় বাংলোয় রয়েছে ৬ টি ঘর।
ঘরগুলি দেখে মনে হবে কোন বিদেশী প্যালেসে হয়ত আপনি এসে পড়েছেন। এই বাংলোর পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে মূর্তি নদী। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য রাত্রে সাঁওতালি নাচ থেকে শুরু করে স্নানের জন্য সুইমিং পুলের ও ব্যবস্থা করা হয়েছে এই বাংলোতে। বন্ধুদের নিয়ে ১ বা ২ দিনের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন বড়দীঘির বড় বাংলো থেকে। কিভাবে যাবেন? ট্রেনে করে পৌঁছে যান মালবাজারে, সেখানে নেমে গাড়ি করে চালসা হয়ে পৌঁছে যান বড়দীঘির বড় বাংলোতে।