আকাশপথেও এবার ট্যাক্সি চেপেও যাওয়া যাবে গন্তব্যে, এয়ার ট্যাক্সি আনছে মারুতি সুজুকি
You can also take a taxi to your destination by air

The Truth of Bengal,Mou basu: ভারতীয় ক্রেতাদের কথা ভেবে বড়সড় চমক আনতে চলেছে মারুতি সুজুকি। এবার শুধু সড়কপথে নয়, আকাশপথের জন্যও অভিনব এয়ার ট্যাক্সি লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই চাকার গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাটি এটির জাপানি পেরেন্ট কোম্পানি Suzuki -এর সহযোগিতায় ইলেকট্রিক এয়ার কপ্টার নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে। ব্যাটারির মাধ্যমে বর্তমানে যেমনভাবে চারচাকা গাড়ি এবং মোটরবাইক চলছে, সেই একইভাবে এবার আকাশপথেও চলবে মারুতি সুজুকির তৈরি এয়ার কপ্টার। এই কপ্টারগুলি খুব সহজে বাড়ির ছাদে থেকেই টেক-অফ এবং অবতরণ করতে পারবে। মারুতি সুজুকির তৈরি করা এই ইলেকট্রিক এয়ার কপ্টারগুলি ড্রোনের তুলনায় বড় হবে, কিন্তু, এগুলি বর্তমানে আকাশপথে পরিবহণ পরিষেবা প্রদানকারী ট্র্যাডিশনাল হেলিকপ্টারগুলির তুলনায় ছোট হবে।পাইলট সহ এই ইলেকট্রিক এয়ার কপ্টার সর্বাধিক 3 জন যাত্রীকে যাতায়াতের পরিষেবা প্রদান করতে পারবে।
এর ওজন হবে আনুমানিক ১.৪ টনের মতো। মারুতি সুজুকি ইলেকট্রিক এয়ার কপ্টারগুলির নাম দিয়েছে ‘SkyDrive’। ইলেকট্রিক এয়ার কপ্টারগুলি মোট 12 ইউনিট মোটর এবং রোটারের সঙ্গে নির্মাণ করা হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অত্যাধুনিক পণ্যটি জাপানে 2025 সালের ওসাকা এক্সপোতে প্রকাশ করা হতে পারে। প্রাথমিকভাবে জাপান ও আমেরিকায় এয়ার ট্যাক্সি বিক্রি করার লক্ষ্য নিয়ে লঞ্চ করা হতে চলেছে। তবে সূত্রের খবর, মারুতি সুজুকি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের মাধ্যমে এই প্রযুক্তিটিকে ভারতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়কপথে উবের এবং ওলার মতো এই এয়ার ট্যাক্সিগুলি আকাশপথের পরিবহণের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
তবে মারুতি সুজুকি শুধুমাত্র বিক্রয়ের জন্যই নয়, ভারতে এই পণ্যটি উৎপাদন করার বিষয়েও বিবেচনা করছে। কারণ, কোম্পানিটির মতে এই এয়ার কপ্টার ভারতে উৎপাদন করা হলে উৎপাদনের খরচও তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম হতে পারে। এই প্রসঙ্গে সুজুকি মোটর (অটোমোবাইল প্রোডাক্ট প্ল্যানিং গ্রুপ) –এর গ্লোবাল অটোমোবাইল প্লানিং ডিপার্টমেন্টের অ্যাসেস্ট্যান্ট ম্যানেজার কেন্টো ওগুরা জানিয়েছেন, কোম্পানিটি ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA) –এর সঙ্গে কথা বলছে এবং এটিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সেই বিষয়ে সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছে।