
Truth Of Bengal: শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ১৮তম আইপিএল-র আসর। সেই ম্যাচে শুরুটা দুরন্ত করেও ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট তুলতে ব্যর্থ হয়েছে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের দল। আমার নাইটদের খেলা দেখে যেটা মনে হয়েছে, ম্যাচ হারার প্রথম কারণই হল রাহানের দলের মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতা।
অথচ খেলার শুরুটা মন্দ হয়নি। ১০ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১০৫ রান ছিল নাইটদের। কুইন্টিন ডি কক তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়ার পর নাইটদের হয়ে রান করতে থাকেন রাহানে ও নারিন। দুজনে এত সুন্দর পার্টনারশিপ খেললো যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু তার পরের ব্যাটাররা অন্যদের মতো আমাকেও হতাশ করেছে। আমি ভেবেছিলাম ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিং এবং আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিংয়ে ঝড় উঠবে।
তার বদলে ওই তিনজন যেভাবে উইকেট উপহার দিয়ে এলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। কেননা সেই সময়ে ওই তিনজন নাইটদের পিঞ্চ হিটার ব্যাটার। তাঁরা ব্যর্থ হওয়া মানেই দল সমস্যার মুখে পড়তে বাধ্য। এবং হলও ঠিক তাই। ভেঙ্কটেশ এবং রিঙ্কু দুজনেই ক্রুণালের একই ধরনের বলে বোল্ড আউট হলেন। ওই সময়ে এত চালিয়ে খেলার দরকার ছিল বলে আমার মনে হয় না। ক্রিজে আর একটু সেট হয়ে নিয়ে তবেই ওইভাবে চালিয়ে খেলতে পারত।
ব্যর্থ হলেন রাসেল-ও। ফলে নাইটদের কাছে পরবর্তীকালে রান ওঠাটাই আটকে গেল। এবং রজত পাতিদারদের এই পরিকল্পনাটা পুরোপুরি সফল হল। শেষ বেলায় অঙ্কৃশ ভাল লড়াই করলেও তাঁর কিছু করার ছিল না। আমি নাইট ব্যাটারদের উদ্দেশে বলছি, পরবর্তী ম্যাচে নাইট ব্যাটাররা যাতে ভালভাবে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন। না হলে কিন্তু সমস্যায় পড়তে হবে দলকে। বিশেষ করে মিডল অর্ডারকে।
নাইটদের হারের পিছনে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পাশাপাশি আরও একটি কারণ হল ইডেনের পিচ বোলারদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল। তার ফলেই বরুণরা ব্যর্থ হলেন। কেননা, নাইটদের এবার ম্যাচ জেতাতে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে স্পিনারদের-ই। নাইটদের তিন বোলার বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানা, স্পেনসারদের দিয়ে কতদূর চলবে তা ভাবার বিষয় আছে। যেভাব শনিবার সল্ট বৈভবকে ট্যাকেল করল, তাতে চিন্তা বাড়াটাই স্বাভাবিক ব্যাপার নাইট টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে।
অপর দিকে বিরাট এবং সল্টের পারফরম্যান্স এক কথায় অসাধারণ বলা চলে। সল্টকে ছাড়া যে কত বড় ভুল হয়েছিল নাইট টিম ম্যানেজমেন্টের তা শনিবার ইডেনে দেখিয়ে দিল ও। যেভাবে প্রথম থেকেই শুরু করল ওখানেই অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল নাইটরা। উল্টো প্রান্তে থাকা কোহলির কথা নতুন করে বলার নেই।
আমি আগেও বলেছি, বিরাটকে চটজলদি না ফেরাতে পারলে নাইটদের অসুবিধা হবে। শনিবার সেটাই হল। বিরাট অ্যাঙ্কার রোল প্লে করে যে ব্যাটিংটা করল এটাই একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের উচিত। এবং স্পেনসারের বলে ও যেভাবে পুল শট করে ওভার বাউন্ডারি হাঁকাল। তাতে একজন ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাসটা কোন পর্যায়ে থাকলে এটা সম্ভব হয়, তা বিরাট ফের বুঝিয়ে দিল।