গুজরাট ম্যাচ জিতে বুমরার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন দলনেতা হার্দিক

Truth of Bengal: বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন পেসার জসপ্রীত বুমরা। এরপর আইপিএল-র শুরুর পর মুম্বইয়ের হয়ে বেশ কয়েকটা ম্যাচ তাঁকে থাকতে হয় মাঠের বাইরে। তারপর ক্রিকেটের মেগা ইভেন্টে ফিরে এসে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে কেন তাঁকে নিয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটাররা চিন্তিত হন। বল হাতে কখন জ্বলে উঠতে হয় তা ভালই বোঝেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় বুম…বুম…বুমরা। শুক্রবার ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হল না। ম্যাচ শেষে তাই তাঁর দলের বোলিংয়ের অন্যতম সেরা অস্ত্র বুমরার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন মুম্বই দলনেতা হার্দিক পাণ্ডিয়া।

শুভমন গিলদের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে হার্দিকের দলের সংগ্রহ ২২৮ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০৮ রানেই বান্ডিল হয়ে যায় শুভমন ব্রিগেড। রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচে মুম্বইয়ের হয়ে বুমরা বল করেন মোট ৪ ওভার। রান দেন মাত্র ২৭। তাঁর এই বোলিং-ই যে প্রতিপক্ষ গুজরাটকে চাপে ফেলে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা ঘুরিয়ে দিয়েছিল তা মেনে নিলেন মুম্বই অধিনায়ক। যে কোনও ব্যক্তির কাছে মুম্বই শহরে একটা ফ্ল্যাট থাকা মানে তা তাঁর কাছে সম্পদ। এই প্রসঙ্গ তুলেই হার্দিক তুলনা করেন বুমরার সঙ্গে। তিনি জানান, ‘ঠিক তেমনই বুমরার মত বোলার দলে থাকা মানে তা আমাদের কাছে সম্পদ। শুধু তাই নয়, ওর মত বোলারকে অধিনায়ক হিসেবে পাওয়াও যথেষ্ট ভাগ্যবান। ম্যাচ চলাকালীন আমি স্কোরবোর্ডের দিকে নজর রাখছিলাম প্রতিনিয়ত। আর ভাবছিলাম এবার আমার বোলিংয়ের সেরা অস্ত্রের হাতে বল তুলে দিতে হবে। সেটাই করি। এবং বুমরা সেই কাজটাই করে দিল।’

দলের প্রধান বোলারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে মুম্বই অধিনায়কের আরও সংযোজন, ‘বুমরার মত খেলোয়াড় দলে থাকা মানে সেই দলের অধিনায়কের চাপও অনেকটা কমে যায় এই কারণে যে, যখনই মনে হয়, ম্যাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছি, ঠিক তখনই ওকে বল করতে দেওয়া উচিত। তাহলেই কেল্লা ফতে।’