খেলা

খো খো বিশ্বকাপ জয় করে ঘরে ফিরল সুমন, উচ্ছ্বাসে মাতলেন এলাকাবাসী

Suman returns home after winning the Kho Kho World Cup, locals are overjoyed

Truth Of Bengal: সৌগত রায়, হুগলী: যে কোনও খেলোয়াড়ের কাছেই স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার। সেই স্বপ্ন কারোর সফল হয়, আবার স্বপ্নকে অধরা রেখে অনেকেই চিরদিনের মতো বিদায় দেন খেলার মাঠকে। হুগলির সুমন বর্মণের দু চোখে দেখা সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। সুমন এখন বিশ্বকাপ তারকা। সদ্য দেশের হয়ে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া এই সুযোগ্য সন্তান এলাকাবাসীর কাছে এখন যথেষ্ট গর্বের এবং অহঙ্কারের।

চলতি বছরে খো খো বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ভারতের মাটিতে। নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল এই মহারণ। পুরুষ বিভাগে ২০ এবং মহিলা বিভাগে মোট ১৮টি দেশ অংশ নিয়েছিল খো-খো বিশ্বকাপে। দুই বিভাগেই নেপালকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব জয় করে আয়োজক দেশ ভারত।

পুরুষদের বিভাগে ভারতীয় দলে বাংলা থেকে একমাত্র সুযোগ পেয়েছিলেন চুঁচুড়ার বাঘাযতীন পল্লির বছর কুড়ির তরুণ সুমন বর্মণ। শুক্রবার বিশ্বকাপের অভিযান শেষ করে চুঁচুড়ায় নিজের বাড়িতে ফেরেন সুমন।

কৃতি খেলোয়াড়কে বরণ করে নেওয়ার জন্য অনেক আগে থেকেই সুমনের পরিবার-সহ এলাকাবাসীরা ভিড় জমাতে থাকেন চুচুড়া স্টেশনে। সুমন স্টেশনে নামতেই আনন্দে উচ্ছ্বাসে ভেসে গেলেন তাঁরা। এরপর সুমনকে হুডখোলা টোটো-তে করে চুঁচুড়ার বিভিন্ন পথ পরিক্রমণাও করা হয়। রাস্তার দুইধারে উপস্থিত জনগণও অর্ভ্যথনায় ভরিয়ে দেন সুমনকে।

আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই সুমনদের পরিবারে। কিন্তু তবুও সমস্ত প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলেই আজ সুমন বিশ্বকাপার। ছেলের এই সাফল্যে তাই আজ গর্বিত সুমনের বাবা রামদেব বর্মণ ও মা সুজাতা বর্মণ। সংসারে অভাব থাকলেও রামদেববাবুর দুই ছেলে সুমন ও সঞ্জুর পাশাপাশি মেয়ে রিয়াও খো-খো খেলোয়াড়। মাধ্যমিকের ছাত্রী রিয়া ইতিমধ্যেই প্রতিনিধিত্ব করেছে বাংলার হয়েও।

Related Articles