বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শামি প্রমাণ করে দিল ও ফুরিয়ে যায়নি: ইন্দুভূষণ রায়
Shami proved himself against Bangladesh and was not out of the running: Indabhushan Roy

Truth Of Bengal: শামি, শামি, শামি। বুম বুম বুমরার পর এখন টিম ইন্ডিয়ার অন্দরে এই আওয়াজ ওঠাটাই স্বাভাবিক। আর এটা শামির প্রাপ্য। কেননা বিশ্বকাপ চলার সময়ই শামি পায়ে গুরুতর চোট পায়। তারপর দীর্ঘ ১৪ মাস ওঁকে জাতীয় দলের বাইরে কাটাতে হয়। এই মানসিক যন্ত্রণাটা যে কি হয়, তা একজন খেলোয়াড়ই জানেন। যাই হউক আমি আগাগোড়াই বলে এসেছিলাম শামি এখন পুরোপুরি সুস্থ। ওঁকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। কেননা ঘরোয়া টুর্নামেন্টে শামি সেটা প্রমাণ করে দিয়েছিল। অবশেষ নির্বাচকদের ঘুম ভাঙল। শামি জাতীয় দলে ফিরে দূরন্তভাবেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচে ওঁর পারফরম্যান্স আমাকে মুগ্ধ করেছে। শামি যে ফুরিয়ে যায়নি এটা আবার ও প্রমাণ করে দিল।
এই দলে বুমরা নেই। কাজেই পেস বোলিংয়ের পুরো দায়িত্বটাই তাঁর কাঁধে। সেখানে একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কি করা দরকার শামি দেখিয়ে দিল। আসলে শামি একজন সহজাত ক্রিকেটার। এবং আমার মনে হয় বর্তমানে ভারতীয় পেস বোলিংয়ে বুমরা আর শামি অন্যতম সেরা জুটি। এঁরা দুজন দলে থাকা মানেই বিপক্ষ দল অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু কিছু করার নেই। বুমরাকে ছাড়াই আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে হবে। তবে আমার মনে হয় শামি যদি এই ছন্দে থাকে, তাহলে বাকি দলের ব্যাটারদের কিন্তু ভাবতে হবে।
পাশাপাশি বৃহস্পতিবার দল নির্বাচন একদম সঠিক হয়েছিল। কারণ শামির সঙ্গে হর্ষিত ও হার্দিক ছিলেন পেস বোলিংয়ে। অপর প্রান্তে স্পিন বোলিংয়ে অক্ষর-জাড্ডুর সঙ্গে কুলদীপ। কেননা দুবাইয়ের পিচে স্পিন প্রথম দিকে একটু স্লো কাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশ ম্যাচে দেখলাম অক্ষরের বল প্রথম থেকেই যেন টার্ন করতে শুরু করল। আশাকরি কুলদীপের জায়গায় এরপর হয়তো বরুণ চক্রবর্তীকে নির্বাচকরা দলে ফেরাবেন।
এবার ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে শুভমনের কথা তো আলাদা করে বলার কিছু নেই। তবে আবারও বলছি এই দলে যশস্বীকে দরকার ছিল। তাহলে ব্যাটিং লাইনআপ আরও শক্তিশালী হত। রোহিত আবার রান পেতে শুরু করলেও বিরাটের ফর্ম আমাকে দিন দিন হতাশ করছে। আর কবে বিরাট রানে ফিরবেন আমার জানা নেই।
ভারত এর পরের ম্যাচেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অন্যতম সেরা ম্যাচে মাঠে নামবে। সেই ম্যাচে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কেননা ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ মানেই একটা আলাদা উত্তেজনার ম্যাচ। পাকিস্তানের কাছে ডু-অর-ডাই ম্যাচ। বাবর-হারিস রউফরা চাইবেন ম্যাচ জিততে। না হলে এই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের বলব, নিজেদের সেরাটা দিক। আর অবশ্যই যাতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত না নিয়ে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক। তাতে আমার মনে হয় লাভবাবনই হবে।