প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কিউয়ি ঝড়ে ৯১ রানেই বাণ্ডিল পাকিস্তান
Pakistan bundled out for 91 in first T20I against Kiwis

Truth Of Bengal: ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতি গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। যার ফলে সর্বত্র উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার হারের মুখ দেখল পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই গো-হারা হারতে হল পাক দলকে। এতটাই খারাপ পারফরম্যান্স করলেন পাক ক্রিকেটাররা যা এককথায় ভাবাই যায় না। ১০০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারলেন না সলমন আঘা ও মহম্মদ হারিসরা। ফলে যা হওয়ার তাই হল। মাত্র ৫৯ বল খেলে ৯ উইকেটের বিনিময়ে পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করে নিউজিল্যান্ড বুঝিয়ে দিল এই মুহূর্তে ফর্মের চূড়ান্ত শিখরে রয়েছে তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেখানে শেষ করেছিল কিউয়ি ব্রিগেড, এই সিরিজে ঠিক সেখান থেকেই শুরু করল মিচেল ব্রেসওয়েল-র দল। ক্রাইস্ট চার্চে টসে জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাটিং করতে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি পাক দলের। যার রেশ পরে পরবর্তী ব্যাটারদের মধ্যেও। পাক দলের দুই ওপেনার মহম্মদ হারিস ও হাসান নাওয়াজকে শূন্য রানে সাজঘরে পাঠিয়ে নিউজিল্যান্ড ইঙ্গিত দিয়ে দেয় এই ম্যাচেও ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে পাকিস্তানের ব্যাটারদের। হলও ঠিক তাই।
দলের দুই ওপেনার চটজলদি কোনও রান না করে প্যাভেলিয়নে ফেরত যেতেই চিন্তার ভাঁজ কপালে পড়তে শুরু করে পাক দলে। এরপর দলনেতা সলমন আঘা দলকে বিপদের হাত থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করতে থাকেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন অপর পাক ব্যাটার খুশদিল শাহ। কিন্তু হলে কি হবে! সলমন ১৮ রানে এবং খুশদিল ৩২ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে যেতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ।
এই দুই ব্যাটার প্যাভিলয়নের ফিরে যাওয়ার পর কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন জাহানদাদ খান। কিন্তু মাত্র ১৭ রান করে তাঁকেও ফিরতে হয় সাজঘরে। ফলে বাকি ব্যাটাররা আর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। জিততে হলে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র ৯২ রান। এত অল্পরানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আর যাই হোক নিউজিল্যান্ডকে হারানো মুশকিল এটা বুঝেই মাঠে নেমেছিলেন পাকিস্তান দল। নিউজিল্যান্ড ওপেনার সেইফার্ট ৪৪ রান করে আব্বার আহমেদের বলে হ্যারিস রউফের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফিরলেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি নিউজিল্যান্ডের। এরপর ফিন অ্যালেন ও রবিনসন অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের দোড়গড়ায় পৌঁছে দেন।