খেলা

পুরনো পারফরম্যান্স এখন অতীত, ফাইনালে  চোখ মোলিনার

Old performances are now in the past, Molina's eyes on the final

Truth Of Bengal: শনিবার আইএসএল-র ফাইনাল ম্যাচে যুবভারতীতে মোহনবাগানের মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু এফসি। এই ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন বাগানের হেডস্যার হোসে মোলিনা। এবং দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু।

সেই সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই বাগান কোচের স্পষ্ট বার্তা, ‘আমার দল আইএসএল-র ট্রফি জয়ের থেকে মাত্র কয়েকটা ধাপ পিছিয়ে। এই অবস্থায় আমরা আর কোনওদিকে তাকাতে চাই না। আমাদের একটাই লক্ষ্য গতবারের অধরা ট্রফি এবার জয় করে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানো। ট্রফি জয়ের এত কাছেও যদি আবার ব্যর্থ হতে হয়, তাহলে সমর্থকদের কাছে জবাব দেওয়ার কিছুই থাকবে না। ওনারা রোদ, ঝড়, বৃষ্টি সব উপেক্ষা করে সারা বছর মাঠে আসেন। আমাদের ট্রফি জয় দেখতে। কাজেই আমার ছেলেরা গতবারের অধরা ট্রফি এবার জয় করতে মরিয়া।’

বাগান কোচের কথায়, ‘বেঙ্গালুরু কঠিন প্রতিপক্ষ। ওদের সমীহ করতেই হবে। তবুও বলছি, আমার দল শনিবার ট্রফি জয়ের জন্যই মাঠে নামবে। এবার ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলেছি। কিন্তু যদি শনিবার ট্রফিটা না জিততে পারি, তাহলে এর কোনও মূল্য থাকবে বলে আমার মনে হয় না। কাজেই আমি চাই আমরা ছেলেরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে ট্রফি জয় করে আবার সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলুক। সেটাই আমার কাছে বিরাট শান্তি।’

মোলিনা এত দিনে ভালই বুঝে গিয়েছেন, কলকাতা ময়দানের হাল-হকিকতের চরিত্র। কাজেই বেঙ্গালুরুকে গুরুত্ব ঘরের মাঠে ম্যাচ, সঙ্গে সমর্থকদের গগণভেদী চিৎকার সুনীলদের বিপক্ষে মাঠেও ভাল খেলতে বড় ভূমিকা নেবে বলেই জানান বাগান কোচ। তাঁর সাফ কথা, ‘কোনও দিকে তাকালে চলবে না। এখন একটাই লক্ষ্য ট্রফি জয় করা। আশাকরি আমার দলের ফুটবলাররা সবাই এর গুরুত্ব বোঝেন। কাজেই আবারও বলছি, শনিবার আমরা ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে নিজেদের সেরাটা দিতে কুসুল করব না।’

প্রতিপক্ষ দলে সুনীল, রাহুল ভেকে এবং গুরপ্রীত সিং সান্ধুর মত খেলোয়াড়রা রয়েছেন। কাজেই একটু হলেও কি চাপে থাকবে না মোহনবাগান?

‘কম কথার মানুষ বাগান কোচ। কথার থেকে বেশি বিশ্বাস করেন পারফরম্যান্সে। সুনীল ও ভেকেদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোলিনা বলেন, ‘ফাইনালে ওঠা কোনও দলকেই ছোট করা উচিত নয়। সুনীলদের অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। তবে কিভাবে ওদের আক্রমণ আটকানোর মোকাবিলা করব সেটা মাঠেই স্পষ্ট হবে।’

সবশেষে বেঙ্গালুরুর সম্বন্ধেও প্রশংসা করতে ভুললেন না মোলিনা। বাগান কোচ বলেন, ‘দীর্ঘ ম্যারাথন লিগের ম্যাচ শেষ করে বেঙ্গালুরুও ফাইনালে উঠেছে। কাজেই তাদের হেলফেলা করা মানেই বিপদ। তারপর যে দলে সুনীল-দিয়াজ, রাহুল, গুরপ্রীতরা রয়েছেন। সুতরাং লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হলেও আমি জয়ের ব্যাপাশে আশাবাদী। কেননা তার মূল কারণই হচ্ছে আমাদের সাপোর্টাররা।’

Related Articles