
Truth Of Bengal: শনিবার ইডেনে আইপিএল-র ঢাকে কাঠি পড়ছে। উদ্বোধনী এই ম্যাচে বিরাট কোহলিদের আরসিসিবি-র মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সুতরাং বলা যেতেই পারে আইপিএল-র আসরে একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।এবারের আইপিএল-এর এই ম্যাচে অনেকের দিকেই নজর থাকবে। কেননা দুটি দলকে যদি দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা যায়, তাহলে দেখা যাবে পার্থক্য খুব একটা বেশি নেই।
যেহেতু ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্স খেলবে তাই বাড়তি একটা অ্যাডভান্টেজে অবশ্যই থাকবে নাইটদের পক্ষে। আমিও তার মধ্যে ব্যতিক্রম নই। তার একটাই কারণ অবশ্যই ঘরের মাঠ। এবং কেকেআর গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল। পাশাপাশি দলটাও যথেষ্ট ব্যালন্স।
বিশেষ করে সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং ভেঙ্কেটশ আইয়ার-রা গত বছর দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। আশাকরি ওদের এবারও ছন্দে দেখতে পাব। অনেকেই আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার, দল থেকে চলে যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না? আমি তাঁদের বলেছি, শ্রেয়স নিঃসন্দেহে ভাল ক্রিকেটার। ও দল ছেড়ে যাওয়ায় তার বদলি হিসাবে রাহানে দলে এসেছেন। সুতরাং নাইটদের ব্যাটিং-এ খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
এর পরই যাঁর কথা বলব, তিনি নাইটদের প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়। অবশ্যই তিনি বিরাট কোহলি। বিরাট যে কোনও দলে থাকা মানেই সেই দল প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াবে এটাই স্বাভাবিক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরাট তাঁর নিজের পুরনো ছন্দ অনেকেটাই ফিরে পেয়েছেন। কাজেই তিনিও চাইবেন ইডেনের ২২ গজে ফের একবার তাঁর পুরনো ফর্মে ফিরতে।
কেননা, আইপিএল-এর ট্রফি জয় এখনও অধরা রয়ে গিয়েছে বিরাটদের কাছ। কাজেই এবার বিরাট একবার অবশ্যই শেষ চেষ্টা করবেন ট্রফি জয়ের জন্য। বিরাট যদি ব্যাট হাতে ক্রিজে টিকে যান, তাহলে প্রতিপক্ষ বোলারদের যে কি করুণ অবস্থা হয়, তা নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কাজেই কেকেআর বোলারদের একটাই কাজ হবে বিরাট ক্রিজে জমে ওঠার আগেই ওকে ফিরিয়ে দিতে হবে ওকে। যদি এই কাজটা বরুণ, হর্ষিতরা করে দেখাতে পারেন, তাহলে আর কোনও কথাই নেই। চাপে পড়ে যাবেন বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটাররা। আর এই কাজটাই করতে হবে নাইটদের। সব শেষে বলি, বিরাট বনাম নাইট বোলারদের লড়াই আশা করি ইডেনের মাঠে হাড্ডাহাড্ডি-ই হবে। এবং দর্শকরা একটা উপভোগ্য ম্যাচ দেখতে পাবেন।