ফাইনাল ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলল ভারতের স্পিন জুটি
India's spin duo put pressure on New Zealand in the final match as well

Truth Of Bengal: রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল সান্টনার। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন, টসে যেই জিতুন না কেন, প্রথমে ব্যাটিং নেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত। কাজেই সান্টনারও দুবাইয়ের পিচের চরিত্র দেখে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
ফাইনাল ম্যাচেও ভারতীয় দলে কোনও পরিবর্তন না হলেও নিউজিল্যান্ড ম্যাচে হেনরির বদলে নেওয়া হয়েছিল নাথান স্মিথকে। ম্যাচের শুরুটা একেবারেই মন্দ করেনি নিউজিল্যান্ড। রাচীন রবীন্দ্রা ও উইল ইয়ং যখন ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করছেন, ঠিক সেই সময়ই কিউয়ি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন বরুণ চক্রবর্তী। উইল ইয়ংকে ১৫ রানে ফিরিয়ে বরুণ প্রথম ধাক্কাটা আনেন কিউয়ি শিবিরে। এরপর দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার রাচীন রবীন্দ্রাকে ৩৭ রানে ফিরিয়ে দিয়ে কুলদীপ প্রমাণ করে দিলেন তিনিও বরুণের মতো যে কোনও সময় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। তার প্রমাণও দিলেন এই স্পিনার। রবীন্দ্রার পর ফিরিয়ে দিলেন উইলিয়ামসনকে। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার চটজলদি ফিরে যাওয়ায় চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
তারপরই টম লাথামকে ফিরিয়ে দেন জাড্ডু। ১০০ রান ওঠার আগেই চার উইকেট হারিয়ে কিউয়িরা তখন যেন আইসিইউতে মুমুর্ষ রোগীর মত ধুঁকতে শুরু করেছে। ঠিক সেই সময়ই দলকে সেখান থেকে টেনে তোলার দায়িত্ব নিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার ডেরি মিচেল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন গ্লেন ফিলিপস। দুজনের জুটিতেই ১০০ রানের গণ্ডি পার করে নিউজিল্যান্ড। এরপর মিচেল ৬৩ এবং ফিলিপ ৩৪ রানে ফিরে গেলও এরপর নিউজিল্যান্ডকে ২০০ গণ্ডি পার করিয়ে দেন ব্রাসওয়েলস। মিচেলকে ফেরান শামি এবং ফিলিপসকে আউট করেন বরুণ। অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ড ব্যাটার হিসাবে অর্ধ্বশত রান পূর্ণ করেন ব্রাসওয়েলস। বিরাটের বলে ৮ রান করে ফেরেন দলনেতা সান্টনারও। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২৫১ রান।
ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বরুণ ও কুলদীপ। একটি করে উইকেট নেন শামি ও জাড্ডু। হার্দিক ৩ ওভার বল করলেও কোনও উইকেট ঝুলিতে পুড়তে পারেননি।