খেলা

রবির গোলে কেরলকে হারিয়ে ভারত সেরা বাংলা

India beat Kerala with Ravi's goal, Bengal best

Truth Of Bengal: চলতি বছরের সন্তোষ ট্রফির খেতাব জয় করল বাংলা দল। হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে কেরলকে ১-০ গোলে হারাল সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। ফাইনাল ম্যাচে বাংলার হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন রবি হাঁসদা। এই নিয়ে ৩৩ বার সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে খেতাব জয় করল বাংলা দল।

কেরল যে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ যা ভালমতই জানাতেন বাংলার অভিজ্ঞ কোচ সঞ্জয় সেন। তাই ৪-৩-৩ পদ্ধতিতেই দল সাজিয়েছিলেন তিনি। অন্য দিকে কেরল কোচ ৫-৪-১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন। ম্যাচের প্রথম থেকেই দুই পক্ষ নিজেদের ঘর গুছিয়ে আক্রমণে আসার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু প্রতিপক্ষ বক্সের কাছে এসে খেই হারিয়ে ফেলেন দুই দলের ফরোয়ার্ডরা।

এদিন ম্যাচে দুই পক্ষই সমানতালে লড়াই করে মাঝমাঠের দখল নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। এবং কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি হয় না। ফলে একটা আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলতে থাকে বাংলা এবং কেরল দুই দলই। তবে আসল কাজটাই করতে পারলেন না কোনো পক্ষই। ফলে প্রথমার্ধের ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্যভাবেই।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই প্রথমার্ধের মতোই আক্রমণ শানাতে দুই দল। কখনও ভান আবার কখনও বাম প্রান্ত ব্যবহার করে গোল করার মরিয়া চেষ্টা চালাতে বাংলা। কিন্তু কেরলের দুই সাইড ব্যাক এবং ডিফেন্ডার সজাগ থাকায় বাংলার আক্রমণ গুলো যেন কিছুতেই গোলে প্রমিত হচ্ছিল না। তবুও আক্রমণ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়নি সঞ্জয় সেনের দল। আর ক্রমাগত আক্রমণের ফলপ্রসূ হিসাবেই অবশেষে কাঙ্খিত গোলের দেখা পেয়ে গেল বাংলা দল।

ম্যাচের প্রায় অন্তিম লগ্নে এসে বাংলার হয়ে সেই জ্বলে উঠলেন রবি হাঁসদা। কেরল বক্সে উড়ে আসা একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন কেরলের ডিফেন্ডার। গোলের সন্ধানে ওত পেতে থাকা রবি গোল করতে কোনও ভুল করলেন না। তারপর আর কেরলের পক্ষে এই গোল শোধ করা সম্ভব ছিল না।

ম্যাচ জেতার সঙ্গে সঙ্গেই ২০২১-২২ মরশুমে কেরলের কাছে হারের মধুর বদলা নিয়ে জাতীয় ফুটবলে ৩৩ বার খেতাব জয় করে বাংলার ছেলেরাও প্রমাণ করে দিল তাঁরাও অন্যদের থেকে পিছিয়ে নেই।

বাংলার এই জয়ের প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে প্রাক্তন ফুটবলার অলোক মুখোপাধ্যায় জানান, ‘বাংলার ছেলেদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। দীর্ঘদিন ধরে সন্তোষ ট্রফি আমরা জয় করতে পারিনি। এবার আমরা সফল হযেছি। বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন কেও আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সঠিক লোকের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে পেরেছি সঞ্জয় তা প্রমাণ করে দিল। এই জয় বাংলার ফুটবলের জয়।’

বাংলার এই জয় মাঠে উপস্থিত থেকে উপভোগ করলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার ভিক্টর অমলরাজ। ম্যাচ শেষে হায়দরাবাদ থেকে ফোনে অমলরাজ জানান, মাঠে থেকে বাংলার এই জয় দেখতে পেয়ে আমার দারুণ আনন্দ হয়েছে। একটা সময় এই বাংলা দলের হয়েই আমরা মাঠে ঘাম ঝড়াতাম। আজ বাংলার ছেলেরাও যেভাবে জয় পেল বাংলার প্রাক্তনী হয়ে আমার আনন্দের ভাষা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। বাংলা দলের সমস্ত ফুটবলার ও কোচকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। এঁদের পাশাপাশি সন্তোষের খেতাব জয়ের পর বাংলা দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

Related Articles