IPL 2025খেলা

হার্দিকের ব্যাট, আর বুমরার বল, জিতিয়ে দিল মুম্বইকে : ইন্দুভূষণ রায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার

Hardik's bat and Bumrah's ball gave Mumbai victory: Indubhushan Roy, former cricketer

Truth Of Bengal: শুক্রবার আইপিএল-র দ্বিতীয় প্লেঅফের ম্যাচে গুজরাট বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের যে ম্যাচটা দেখলাম, তা সত্যিই খুব ভাল লাগল। অনেকদিন পর একটা ভাল ম্যাচ দেখলাম বলা যেতেই পারে। এই ম্যাচে বহুদিন পর ব্যাট হাতে পুরনো রোহিতকে দেখে অন্যান্যদের মত আমিই দারুণ খুশি। রোহিত দীর্ঘদিন ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না। ফলে রোহিতকে নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। ওঠাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটাও সমালোচকদের মনে রাখা দরকার রোহিত কী ধরনের ক্রিকেটার। ওর লেভেলটা কি? আমি তাঁদের উদ্দেশে বলি, সময় প্রতিটা মানুষের খারাপ যেতেই পারে, তাই বলে কেউ খারাপ ক্রিকেটার হয়ে যায় না। বিশেষ করে রোহিতের মত ক্রিকেটাররা। হয়ত আইপিএল-এ একটু দেরিতে ছন্দ ফিরে পেল ঠিক কথাই। তবে অসাধারণ একটা ইনিংস গুজরাটের বিপক্ষে খেলে রোহিত বুঝিয়ে দিল, ছন্দে থাকলে ও এখনও কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।

অবশ্য রোহিতের ব্যাটিং আমার ভাল লাগলেও, মুম্বই যে ম্যাচটাতে জয় পেয়েছে, তার জন্য কিন্তু শেষ লগ্নে হার্দিকের ওই মূল্যবান ২২ রান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মাত্র নয় বল খেলে হার্দিক যে রানটা অন্তিম পর্যায়ে করে দিল তাতেই কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেল। এটা শুধু আমি একা নই, অনেকেই আমার সঙ্গে আশাকরি একমত হবেন।

ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে মুম্বইয়ের দ্বিতীয় কারণ যেটা আমার মনে হয়েছে সেটা হল হার্দিকের সঠিক সময়ে বুমরার হাতে বল তুলে দেওয়া। এটা অত্যন্ত বুদ্ধিমানের একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হার্দিক। কেননা, ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্মানে ওকে বোলিং অলরাউন্ডার বানানো হলেও আমরা কিন্তু ওয়াশিংটনকে ব্যাটার অলরাউন্ডার হিসেবেই জানতাম। সুন্দর যেভাবে ওই সময় ক্রিজে জমতে শুরু করেছিল, তাতে বুমরা যদি ওকে আউট না করতে পারত, তাহলে গুজরাট হয়ত ম্যাচটা বারও করে নিতে পারত। ওর সঙ্গে সাই সুদর্শনের জুটিটাও ভাল জমেছিল। এর পাশপাশি শুভমন যদি আর কিছু রান করে দিতে পারতেন, তাহলে কি হত বলা মুশকিল। আসলে এর নামই ক্রিকেট। কখন কি হয় কেউ বলতে পারে না। রোহিতের পাশাপাশি অসাধারণ ইনিংস খেললো সুর্দশনও। যত দিন যাচ্ছে ছেলেটাকে দেখে সত্যিই খুব ভাল লাগছে।

এবার এলিমেনটরের ম্যাচে মুম্বইকে খেলতে হবে পঞ্জাবের বিপক্ষে। এই ম্যাচে আমার মনে হয় কিছুটা হলেও মানসিক দিক থেকে এগিয়ে থাকবে হার্দিকের দল। কেননা, গুজরাট ম্যাচের জয়ই ওদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। পক্ষান্তরে শ্রেয়সের দলকে জিততে গেলে ওদের তিনজন ব্যাটারকে অসম্ভব ভাল খেলতে হবে। পাশাপাশি অর্শদীপদেরও ভাল বোলিং করাটা জরুরি। তাই আমার মনে হয় এই কঠিন লড়াইয়ের আগে আগের ম্যাচে হেরে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেয়সরা কতটা লড়াই করতে পারবেন তা সময় হলেই বোঝা যাবে।

 

Related Articles