বিহারের বিরুদ্ধে ড্র করেও সন্তোষের মূলপর্বে বাংলা
even after draw with bihar west bengal reached final stage in santosh

Truth Of Bengal: কল্যাণী : সঞ্জয় সেনের স্পর্শে বাংলা ফুটবল ফের ছুটছে। সন্তোষ ট্রফিতে গতবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল বাংলা। সেই ব্যর্থতার সঙ্গী এবার আর হতে হচ্ছে না। বিহারের সঙ্গে এদিন গোলশূন্য ড্র করলেও গ্রুপ পর্বে সেরা হয়েই সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে বাংলা। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে বাংলা সাত পয়েন্ট পেয়েছে। গ্রুপের শীর্ষস্থানাধিকারী দলগুলি সন্তোষের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সেই হিসাবে বাংলা উঠে গিয়েছে মূলপর্বে। গত বারের দুই ফাইনালিস্ট সার্ভিসেস এবং গোয়া সরাসরি মূলপর্বে খেলবে। পাশাপাশি মূলপর্বের আয়োজক হিসাবে তেলঙ্গানাও সরাসরি খেলবে। বাকি ৩৫টি দলকে ন’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ স্থানে থাকা দলগুলি মূলপর্বে খেলবে।
ছ’দিনের ব্যবধানে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে হয়েছে বাংলাকে। স্বাভাবিক ভাবেই ফুটবলারেরা এদিন একটু হলেও ক্লান্ত ছিলেন। তবু বিহারকে সাধ্যমতো বেগ দিয়েছে বাংলা। গোলটাই শুধু করতে পারেনি। এর আগের দুই ম্যাচে এগারো গোল করার পাশাপাশি ক্লিনশিট রেখেছিল সঞ্জয় সেনের ছাত্ররা। তা সত্ত্বেও কল্যাণী স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে বিহারের বিরুদ্ধে নামার আগে বাড়তি সতর্ক ছিলেন সঞ্জয় সেনের ফুটবলাররা। কারণ এদিন বিহার জিতে গেলে রবি হাঁসদা, চাকু মাণ্ডিদের সঙ্গে সমান পয়েন্ট হয়ে যেত বিহারেরও। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলের ভিত্তিতে বিহারের সামনে মূলপর্বে যাওয়ার সুযোগ চলে আসবে। তাই শেষ ম্যাচে নামার আগে বাংলার লক্ষ্য ছিল, টানা তিন ম্যাচ ক্লিনশিট-সহ বড় ব্যবধানে জিতে পরের রাউন্ডে যাওয়া।
সেই লক্ষ্য অবশ্য পুরোপুরি পূরণ করতে পারেনি বাংলা। এদিন পেনাল্টি থেকেও গোলের সুযোগ নষ্ট করে বাংলা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে সন্তোষের মূলপর্ব। ফাইনাল ২২ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে। তবে বাংলার আসল লড়াই শুরু হবে মূলপর্ব থেকেই। সেখানে রয়েছে গোয়া, কেরল, মণিপুরের মতো শক্তিশালী দল।