
The Truth of Bengal: গত ২৯ জুন টি-২০ বিশ্বকাপের খেতাব জয় করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। তার ঠিক পরই জিম্বাবোয়ে সফরে দল পাঠায় বিসিসিআই। পাঁচ ম্যাচের এই টি-২০সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার কোনও সিনিয়র ক্রিকেটারকে পাঠানো হয়নি। ফলে ভারত কেমন পারফরম্যান্স করবে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত শুভমান গিলের দল এই সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। জিম্বাবোয়েকে ৪২ রানে পরাস্ত করে পঞ্চম ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করলো টিম ইন্ডিয়া।
প্রথম ম্যাচেই মর্মান্তিক পরাজয়, তারপর থেকে শুরু পুনরুদ্ধারের গল্প, শুভমান গিলের নেতৃত্বে তরুণ ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবোয়েকে ৪-১ এ হারাল। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে ৪২ রানে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সঞ্জু স্যামসন এবং মুকেশ কুমারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জোরে, টিম ইন্ডিয়া টানা চতুর্থ জয়ের সাথে সিরিজ দখল নেয়। যেখানে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন শিবম দুবে।
জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা টসে জিতে, প্রথমে বোলিং করার সিধান্ত নেন নিয়েছেন। যশস্বী জয়সওয়াল শুরুতেই সিকান্দার রাজার ওভারের পরপর দুই ছক্কা দিয়ে শুরু করলেও চতুর্থ বলে বোল্ড হন তিনি। তিন নম্বরে ব্যর্থ হন অভিষেক শর্মার, গিলও সহজেই আউট হন।
মাত্র ৪০ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর ইনিংসের হাল ধরেন সঞ্জু স্যামসন (৫৮) ও রিয়ান পরাগ (২২)। দুজনের মধ্যে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ ছিল, যাতে স্যামসনকে বেশি কার্যকর দেখালেও রিয়ান বিশেষ কিছু করতে পারেননি। শেষ ওভারে শিবম দুবে দ্রুত ২৬ রান করে দলকে ১৬৭ রানে নিয়ে যান। মুজারাবানি আবারও জিম্বাবোয়ের হয়ে ১৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১৬৮ রানের মাঝারি লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় জিম্বাবোয়ে। ওয়েসলি মাধেভেরেকে সাজঘরে ফেরান মুকেশ। এরপর দ্বিতীয় ওভারে এসে ব্রায়ান বেনেটকেও আউট করে জিম্বাবোয়েকে চাপে ফেলেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও ডিওন মেয়ার্স মিলে যোগ করেন ৪৪ রান। মারুমানি ২৪ বলে ২৭ ও মেয়ার্স ৩২ বলে ৩৪ রান করে ফিরে গেলে আবারও চাপে পড়ে জিম্বাবোয়ে। শেষদিকে একমাত্র লড়াই করতে পেরেছেন ফারাজ আকরাম। তার ১৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস ছাড়া বাকি কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। মুকেশ ৪টি উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার। ২টি উইকেট পেয়েছেন শিবম দুবে। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন তুষার দেশপান্ডে, ওয়াশিংটন সুন্দর ও অভিষেক শর্মা।