খেলা

ধৈর্য ধরুন, অস্কারের হাতেই সুদিন ফিরবে ইস্টবেঙ্গলের : ট্রেভর জেমস মরগ্যান

Be patient, East Bengal will return to good times with Oscar: Trevor James Morgan

Truth Of Bengal: সুদীপ্ত ভট্টাচার্যঃ ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসাবে তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল ২০১৬-১৭ মরসুমে। লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে প্রথম পা রেখেই সাহেব কোচ বুঝেছিলেন এই ক্লাবের সমর্থকদের মন জয় করতে গেলে কি করতে হবে। সেই মতোই কাজ শুরু করেছিলেন ট্রেভর জেমস মরগ্যান।

তারপর গঙ্গা দিয়ে যত জল গড়িয়েছে, লাল-হলুদ জনতা থেকে সেই সময় দলের খেলোয়াড় সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন মরগ্যান। তাঁর কোচিংয়েই লাল-হলুদ শিবির কোনও পয়েন্ট না হারিয়ে ৩৮ বার কলকাতা লিগের খেতাব  শিরোপা জয় করেছিল। তারপর সাহেব কোচ দায়িত্ব ইস্টবেঙ্গলের।

কিন্তু এখনও তাঁর হৃদয়ে রয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, ইস্টবেঙ্গল, ইস্টবেঙ্গল। ট্রেভরের ঠিকানা এখন অস্ট্রেলিয়া। রবিবারের দুপুর। নাতি ও স্ত্রীকে নিয়ে এলাকা ভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন সাহেব কোচ। সেখান থেকেই চলতি আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের মতামত জানালেন তিনি।

ট্রেভর জানান, ‘আমি আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের খেলা খুব একটা দেখিনি। কিন্তু প্রতিদিন-ই খবর পেয়েছি দল একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক সময় জেতা ম্যাচও হাতছাড়া হয়েছে। তা শুনে খুবই খারাপ লাগত আমার। ভারতে থাকাকালীন ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করানোটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা একটা অধ্যায়। ক্লাব এবং সমর্থকদের আমি এখনও খুব মিস করি। জানি ওদের খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। বিশ্বাস করুন, আমিও খুব আশাহত ইস্টবেঙ্গলের এইরকম পারফরম্যান্স দেখে।’

ইস্টবেঙ্গল কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে সুপার কাপ ছাড়া আর কোনও ট্রফি পায়নি। আইএসএল-র প্রথম দিকে হারের পর ম্যাচ হারতে হয়েছে। এখন অস্কারের হাত ধরে কিছুটা ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে দল। কি মনে হয় আপনার, অস্কারের হাত ধরেই কি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে ইস্টবেঙ্গলে?

প্রশ্নটা শোনা মাত্রই সাহেব কোচের সাফ উত্তর ‘আমি সব সময়ই আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল অস্কারের হাত ধরেই ঘুড়ে দাঁড়াবে। প্রতিদিনই ভারত থাকা বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি কুয়াদ্রাত দলটাকে সেট করতে পারেননি। অথচ অস্কার এসে দলের অনেক পরিবর্তন এনেছেন। একদম ঠিক কাজ করেছেন অস্কার। আমি আশাবাদী অস্কারের জমানাতেই আবার লাল-হলুদ গ্যালারিতে মশাল জ্বলবে।

এএফসি কাপে অস্কার চেষ্টাও করেছিলেন। হলে কি হবে কপাল সঙ্গ দেয়নি। ঠিক আছে, সাফল্য ও ব্যর্থতা জীবনের সঙ্গী। এগুলো মেনে নিতে হবে। তবুও বলছি আমি ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আশাবাদী। আমার প্রাক্তন দল আগামী দিনে ঠিক ঘুড়ে দাঁড়াবে। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে আমি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ইস্টবেঙ্গল জনতার সেই উচ্ছ্বাস আবার দেখতে পাব। কিন্তু খেলোয়াড়দের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ, আপনারা সবাই প্রফেশনাল। কাজেই ক্লাবের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না। নিজেদের উজাড় করে দিন। দেখবেন সাফল্য আসবেই।’

Related Articles