
Truth Of Bengal: তরুণ মুখোপাধ্যায়, হুগলি: আইপিএল অর্থাৎ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বড় ক্রিকেট লিগ। বিশ্বের সেরা এই ক্রিকেটীয় আসরে প্রথম বাঙালি আম্পায়ার হিসাবে গুরু দায়িত্ব সামলাচ্ছেন হুগলির চন্দননগরের চার মন্দির তলার বাসিন্দা অভিজিৎ ভট্টাচার্য।
চলতি বছর আইপিএলের ছটি খেলায় ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন অভিজিৎ। এর আগে তিনি বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আম্পায়ারিং করেছেন। তবে বিশ্বের এত বড় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আম্পায়ার হিসাবে তাঁর এটাই প্রথম আবির্ভাব।
আম্পায়ারিং-এ অভিজিতের পথ চলা শুরু হয় সিএ বির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আম্পায়ারিং এর মধ্য দিয়ে। এবার পথ চলা শুরু আইপিএল-এর আসরে প্রথম অন ফিল্ড আম্পায়ারিং এর দায়িত্ব দিয়ে। এর আগে আইপিএলের চতুর্থ আম্পায়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও গত বছর ওমেন প্রিমিয়ার লিগের খেলাতেও তিনি আম্পায়ার হিসাবে গুরু দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
অভিজিৎ ২০০৮ সালে সিএবি র আম্পায়ারিং পরীক্ষায় পাস করেন। এবং তার দু বছরের মধ্যে তিনি বিসিসিআইয়ের আম্পায়ারিং পরীক্ষায়তেও সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন বিজয় হাজারে ট্রফি, রঞ্জিত ট্রফির মত খেলায় তিনি আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ২০২৪ সালে তিনি চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন আইপিএলের আসরে। আর তার এক বছর পরই অভিভিৎ প্রথম মাঠে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পেলেন।
এবারের আইপিএল-এ আম্পায়ার হিসাবে আইপিএল-এ আম্পায়ার হিসাবে তাঁর প্রথম ম্যাচ ছিল লখনউ সুপার জায়ান্ট বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মধ্যে। রবিবার অভিজিৎ দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম সানরাইজ হায়দ্রাবাদের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বও পেয়েছেন।
ছোট থেকেই অভিজিৎবাবুর ক্রিকেটের প্রতি একটা আবেগ বা ভালোবাসা ছিল, খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ইংল্যান্ডের কাউন্টি লিগেও খেলেছেন। পরবর্তীতে খেলা ছেড়ে আম্পায়ারিং এর প্রতি আগ্রহ জন্মায় তাঁর। আইপিএল এর মতন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা আসরে আম্পায়ারিং করার জন্য এটা তাঁর কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। এবং তিনি এই চ্যালেঞ্জটা দারুণভাবে সামলাচ্ছেন বলেও জানালেন আইপিএল-র আসরে এই নতুন বাঙালি আম্পায়ার।