কবে পালন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’? আলোচনায় প্রস্তাব আসছে বিধানসভায়
West Bengal Day Celebration

The Truth of Bengal: রাজ্যের জন্য বিশেষ দিন ও একটি নির্দিষ্ট গান নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব আসছে। এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে শাসক-বিরোধীরা। তারপর চূড়ান্ত হবে সেই বিশেষ দিন ও রাজ্য সঙ্গীত। ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’ পালন করা হয়েছিল রাজভবনে। যে দিনটির সঙ্গে আবার বঙ্গভঙ্গের ক্ষত জড়িয়ে আছে। তাই এই দিনটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সূত্র ধরেই বাংলার জন্য বিশেষ দিন ও রাজ্য সঙ্গীত নির্বাচনে উদ্যোগী হয় শাসক শিবির। গত ২৯ সেপ্টেম্বর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সর্বদল বৈঠক হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জগতের বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সবার সঙ্গে কথা বলে খোলাখুলি মত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে উপস্থিত বেসিরভাগ ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে পয়লা বৈশাখ দিনটির পক্ষে মত দেন। এবার সেই দিন ও রাজ্য সঙ্গীত নির্বাচন করতে বিধানসভায় প্রস্তাব আসছে।
পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে নানা সময়ে নানা কথা উঠেছে। রাজ্য বিজেপি ২০ জুন দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করে। খোদ রাজ্যপাল এবছর রাজভবনে দিনটি পালন করেছিলেন। এনিয়ে আপত্তি করেছিল রাজ্য সরকার। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন অখণ্ড বাংলার প্রাদেশিক আইনসভার ভোটাভুটিতে দুই বাংলা ভাগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছিল। তাই দিনটি বাংলার ইতিহাসে ক্ষত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বাঙালির ইতিহাস কিংবা সংস্কৃতিতে এমন দিনের বিশেষ গুরুত্ব আগে ছিল না। আজও সেই যন্ত্রণাময় ইতিহাস কুরে কুরে খায় শিকড় বিচ্ছিন্ন মানুষদের। ইংরেজ চলে গেলেও তাদের টেনে যাওয়া বিভাজনের ক্ষত রয়ে গিয়েছে। তাই ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের সিদ্ধান্তে বিতর্ক আছে। সর্বসম্মত ভাবে অন্য একটি দিন নির্বাচনে উদ্যোগী হয় সরকার।
বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস কবে হবে, সেই নিয়ে বিধানসভায় একটি কমিটি তৈরি হয়। কমিটির উপদেষ্টা হন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ সুগত বসু। সদস্য ছিলেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। কয়েকদিন আগে সেই কমিটির একটি বৈঠক হয়। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন নিয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। উঠে আসে পয়লা বৈশাখ দিনটি। তারপর নবান্নে সর্বদল বৈঠকেও পয়লা বৈশাখের পক্ষে মত উঠে আসে। এবার বিধানসভায় প্রস্তাব এনে আলোচনার ভিত্তিতে সবকিছু চূড়ান্ত করতে চায় সরকার পক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী চান ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাজ্যের আবেগ জড়িয়ে থাকা দিনটি নির্বাচন করা হোক।