
The Truth of Bengal: বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছিল শুক্রবার থেকে। শোকপ্রস্তাব দিয়ে সেদিনের মতো অধিবেশন শেষ হয়। অধিবেশন চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সোমবার গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি থাকায় অধিবেশন বসেনি। মঙ্গলবার থেকে চলবে অধিবেশন চলবে স্বাভাবিক নিয়মে। অধিবেশনে বিধায়কদের হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দলীয় বিধায়কদের একশো শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে কড়া নির্দেশ জারি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি দলীয় বিধায়কদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কিছু বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, সেই হুঁশিয়ারির পর এবার বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করতে কড়া নির্দেশ জারি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কে, কখন বিধানসভায় আসছেন এবং বেরিয়ে যাচ্ছেন তা লিপিবদ্ধ করতে মুখ্য সচেতক এবং পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘরে হাজিরা খাতা রাখা থাকবে। সেখানে সবকিছু লিখতে হবে দলীয় বিধায়কদের। অধিবেশন বসবে ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ২৮ তারিখ সংবিধান দিবস। সেদিন সংবিধানের ওপরেই আলোচনা হবে বিধানসভায়। ২৯ তারিখ বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বিলের আলোচনা হবে। এবং ৩০ তারিখ মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি বিল নিয়ে আলোচনা আছে।
অধিবেশনের আগে গত বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে এবারও অনুপস্থিত ছিল বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন না আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও। এই অধিবেশনে বিজেপির ভূমিকা কী হবে? যা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। অতীতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে, কোনও অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেনি বিরোধী বিজেপি। প্রায় প্রতিটি ইস্যুতে অধিবেশন কক্ষে হট্টগোল করে ওয়াকআউট করতে দেখা যায় তাদের। চলতি অধিবেশনেও কী একই ভূমিকা থাকবে বিজেপির? উঠছে এই প্রশ্ন। এখন পর্যন্ত বিজেপির তরফে তেমন কিছু বলা না হলেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সরকার পক্ষ চাইবে সুষ্ঠুভাবে সভা শেষ করতে। সেক্ষেত্রে বিজেপির ভূমিকায় বিধানসভার অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে শেষ করা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থাকছে।