৫ রাজ্যের ভোটের পরই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব
The Congress top leadership has called a meeting of the India Alliance right after the polls in 5 states

Bangla Jago TV Desk : সেমিফাইনালে বিজেপি অনেকটাই অক্সিজেন পেয়েছে।৫রাজ্যের ভোটের ফল দেখে বিজেপি যে বেশ উজ্জীবিত তা তাঁদের প্রতিক্রিয়া থেকে পরিস্কার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা একে বিজেপির বড় বিজয় বলে দাবি করছে। কিন্তু বিরোধীরা সহজে হাল ছাড়তে নারাজ। অতীতের একাধিক নজির সামনে রেখে চব্বিশের লড়াইয়ের রণকৌশল চূড়ান্ত করার পথে এগিয়ে যেতে চায় বিরোধী শিবির। এনডিএ-র জোটকে রাজনীতির অঙ্কে বোল্ডআউট করতে পাল্টা ঘুঁটি সাজানোর কৌশল নিতে তত্পর ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। ৬ ডিসেম্বর বিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকা হয়েছে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে সেই বৈঠকের জন্য অবিজেপি দলের নেতাদের ফোন করেন।ডিএমকে,এনসিপি,শিবসেনা সহ বহুদলই এই বৈঠকে যোগ দিতে চায়। এই মহাবৈঠকে মূলতঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে ঐক্যমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা হবে।বিজেপি বিরোধী শিবিরের নেতারা মনে করছেন একের বিরুদ্ধে এক লড়াই ছাড়া কোনও গতি নেই।
কারণ ৫রাজ্যের ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো জানিয়েছেন,কংগ্রেস পেয়েছে ৩৯শতাংশ ভোট।আর ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা পেয়েছেন ১২শতাংশ ভোট।দুই তরফের ভোট যোগ করলে বিজেপির ৪২শতাংশ ভোট ছাপিয়ে যাবে।তাতে আর বিজেপি জয়ের মুখ দেখতে পাবে না।এই আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,বুঝিয়ে দেন,কংগ্রেস ত্রুটি সংশোধন করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চললে বিজেপির হার অবশ্যম্ভাবী।এবিষয়ে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার ভবিষ্যতের সমঝোতার রোডম্যাপ নিয়ে একপ্রস্থ আভাস দিয়েছেন।তিনি জানান,এই বৈঠকে ইন্ডিয়া জোট ফলাফলের বিশ্লেষণ করবে৷ রাজ্যগুলির বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ফলাফলের বিশদ বিবরণ মেলার পর সবকিছু ঠিক হবে। এই বৈঠকে শারদ পাওয়ার, শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে সহ অন্যান্য দলের নেতার উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতি বুঝে আগামীর রণকৌশল চূড়ান্ত করতে চাইছে বিরোধীশিবির।বিজেপি বিরোধীরা চাইছে,নীতির ভিত্তিতে লড়াই হোক।ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরের অখণ্ড ভারতের মিশন আর জনমুখী অর্থনীতির মাধ্যমে যুবসমাজকে দিশা দেওয়ার জন্য এজেন্ডা সেটিং করাই আশু কর্তব্য ইন্ডিয়া জোটের।তাই মোদির বিরুদ্ধে লড়তে সার্বিক বোঝাপড়ার ফর্মূলা বের করার কাজেই এখন মন দিতে চায় অবিজেপি দলগুলো।হাতে সময় খুব কম।এই কম সময়ে বড় দলের গোঁ ছেড়ে আঞ্চলিক দলের সঙ্গে সহমতে পৌঁছাতে কংগ্রেস কতটা নমনীয় হয় তাও লক্ষ্যণীয়। ০১৯-এর ভোটে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির চিন্তার কারণ ছিল। সেখানে কংগ্রেস ভাল ফল করেছিল। তিন হিন্দি বলয়ের রাজ্যের ফল বলছে, বিজেপি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করে, বীরসা মুন্ডার জন্মদিবসকে জনজাতীয় গৌরব দিবস ঘোষণা করে এবং আদিবাসীদের জন্য সরকারি প্রকল্প ঘোষণা করে আদিবাসী ভোট পেয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানার ১১৩টি তফসিলি জনজাতি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বিজেপি ৫৮টি জিতে এসেছে। কংগ্রেস পেয়েছে ৪৭টি|
FREE ACCESS