পুরোহিতের শংসাপত্র গ্রাহ্য হবে CAA আবেদনে, বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের
Priest's certificate to be accepted in CAA application, question on validity grass roots

The Truth of Bengal: সিএএ -র জন্য আবেদনে প্রয়োজনীয় নথি না থাকলেও অসুবিধা নেই। আবেদনকারী স্থানীয় কোনও মন্দিরের পুরোহিত, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসংঙ্ঘের মতো সংগঠনের শংসাপত্রও জমা দিতে পারেন। সেই শংসাপত্র গ্রাহ্য হবে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। এই শংসাপত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূল। আগেই লাগু হয়েছে সিএএ আইন। নাগরিকত্ব পেতে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। বেশ জটিল এই প্রক্রিয়ায় অনেকে সড়গড় নন। তাঁদের জন্য এবার আসরে নামল বিজেপি। কী ভাবে আবেদন জানাতে হবে, তা শেখাতে এ বার বিজেপির তরফে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, সিএএ-এর জন্য আবেদনে প্রয়োজনীয় নথি না থাকলেও অসুবিধা নেই। আবেদনকারী স্থানীয় কোনও মন্দিরের পুরোহিত, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসংঙ্ঘের মতো সংগঠনের শংসাপত্রও জমা দিতে পারেন। সেই শংসাপত্র গ্রাহ্য হবে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। আবেদনকারীকে জানাতে হবে তিনি কোন দেশ থেকে এসেছেন। প্রমাণ হিসেবে নির্ধারিত ৯টি নথির মধ্যে অন্তত একটি জমা দিতে হবে। যাদের সেই নথির একটিও নেই তাঁদের কী হবে? এই প্রশ্নে জানা যাচ্ছে, তেমন ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে কোনও মন্দিরের পুরোহিত, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসংঙ্ঘের মতো সংগঠন থেকে শংসাপত্র নিয়ে জমা দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে দেশের সংসদে আইন হয়ে পাশ হয়ে গিয়েছে, সেখানে কেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শংসাপত্র দিতে হবে? মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, ফের ভাঁওতা দিচ্ছে বিজেপি। এই শংসাপত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের আগে সিএএ চালু করে টোপ দিতে চেয়েছিল বিজেপি। মানুষ তাতে সাড়া দিচ্ছে না দেখে বিজেপি এখন নতুন ফন্দি নিয়েছে। এখন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে আনা শংসাপত্র গ্রাহ্য হবে বলে জানাচ্ছে। নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি আছে যেখানে, সেখানে কেন আবার নতুন করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শংসাপত্র দিতে হবে।‘ অন্যদিকে, সিএএ-তে কী ভাবে আবেদন জানাতে হবে, তা শেখাতে এ বার বিজেপির তরফে প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। মতুয়া ও উদ্বাস্তু প্রধান নদিয়া জেলার ৬ জন ইতিমধ্যে সেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত শনিবার বিজেপি কার্যালয়ে দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সেই প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। রাজ্যের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা থেকে তিন জনকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। সেই তিন জন প্রশিক্ষণ নিয়ে গিয়ে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে প্রশিক্ষণ দেবেন। তাঁরা আবার মণ্ডল স্তরে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে শেখাবেন পদ্ধতি। এই ভাবে একেবারে বুথস্তর পর্যন্ত ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ চলবে। লোকসভা নির্বাচনের যা নিয়ে নতুন করে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।