রাজনীতি

অনাবাসী ভারতীয় দের সামনে বাংলার সাফল্য তুলেধরলেন মমতা

Mamata in Barselona

The Truth of Bengal: বিশ্ববাসীকে একসূত্রে গাঁথার কথা তুলে ধরে একসময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,লিখেছিলেন,দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে যাবে না ফিরে এই মহামানবের সাগরতীরে…।এবার সেই ভারতীয় মানবতাবাদী আদর্শকে বিশ্বমঞ্চে আলাদা আঙ্গিকে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিভাবে ভারত ঐক্যের সুরে বাঁধা,মহামিলনের অনন্য  ক্ষেত্র তা কখনও সুরে –ছন্দে বোঝানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সার্বিক উন্নয়ন ছাড়া যে দেশ এগোতে পারে না সেই ভাবনাও উঠে আসে তাঁর কথায়।বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি-কৃষ্টি-গৌরবে বরাবরই এগিয়ে।বিশ্বমঞ্চে একেবারে অন্য ধারার মডেল।উন্নয়নের পথে যে পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বজনীন সম্মানলাভ বা গৌরব বৃদ্ধি হচ্ছে সেকথাও জাতীয় নেত্রীর মতো উপস্থাপন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সব দেশকে এই দেশ কিভাবে এক করে নিতে পারে তার অতীত উদাহরণ থেকে বর্তমানের বিকাশের কথাও স্পষ্ট করেন তিনি।বার্সেলোনার অনাবাসীদের খোলামেলা আহ্বান জানান দুর্গাপুজোয় আসার জন্য।ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে জায়গা পাওয়া বাঙালির শ্রেষ্ঠউত্সবের অঙ্গনে সবাইকে মিলিত হওয়ার ডাকও দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঙ্গীতের সুর বাঁধা   মহিলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে গিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করেন।তাতে গোটা হল হাততালিতে ফেটে পড়ে। পরক্ষণেই অবশ্য ঘোষিকা   ভুল শুধরে নেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়    তাঁর ভাষণে   প্রত্যেক রাজ্যের সংস্কৃতির ঐতিহ্যের কথা উথ্থাপন করে বুঝিয়ে দেন, মানবতাবাদী দর্শনের মূল্য কোথায়।

গুজরাটি থেকে মারাঠী সব ভাষাতেই উপস্থিত জনতাকে সম্বোধন করেন তিনি। কিভাবে অতীতের থেকে বাংলার শিল্পোন্নয়নের ছবিটায় বদল এসেছে তাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বুঝিয়ে দেন,ভারতে   সমন্বিত উন্নয়ন আর বহুত্ববাদের ভাবনা কার্যকর হলে দেশের প্রকৃত প্রগতি সম্ভব।এই অবস্থায় অনাবাসীদের আবেগ ছুঁয়ে যান তিনি।বোঝা যায়,বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এখন দেশকে দিশা দেখানোর কান্ডারী।সবাইকে নিয়ে চলার সার্থকতা কোথায় সেই বার্তা আর পাঁচটা নেতার থেকে তাঁকে আলাদা ইউএসপিতে ভূষিত করেছে বলে অনাবাসীরাও মনে করছেন।

Related Articles