রাজনীতি

সংক্রমণ নেই ফুসফুসে! আগের থেকে ভালো আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

Buddhadeb Bhattacharya

The Truth of Bengal: আরও সুস্থ হয়ে উঠেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বন্ধ করা হয়েছে সব অ্যান্টিবায়োটিক। তবে কবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়া হবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। গত ২৯ জুলাই ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সে দিন রাতেই তাঁকে দেওয়া হয় ‘ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে’। ৪৮ ঘণ্টা ভেন্টিলেশনে থাকার পর তাঁকে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় ‘নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে’। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়।তাঁকে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,সিপিএম  সহ বাম দলের নেতারা,যান  রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। তাঁকে বাইপ্যাপ সার্পোট দেওয়া হয়।

শনিবার বেশ কিছু সময়ের জন্য তাঁকে বাড়ির ‘বাইপ্যাপ সাপার্টে’ই রাখা হয়েছিল। রাতে অবশ্য হাসপাতালের ‘বাইপ্যাপ সাপার্টে’ রাখা হয়। সাত দিন হাসপাতালে কাটানোর পর বুদ্ধদেবের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে অনেকটাই। সংক্রমণের কারণে তাঁকে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল। স্যালাইনের মাধ্যমে  অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছিল   এত দিন। এক সপ্তাহ পর শনিবার তাঁর অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ শেষ হয়েছে। তার পরেই খুলে ফেলা হয়েছে স্যালাইনের নলও। হাসপাতালের তরফ থেকে জানা গেছে, নতুন করে কোনও সংক্রমণ যাতে না হয় সেজন্য চিকিৎসকেরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

রবিবার সকালে হাসপাতালের তরফে প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে থাকলেও,  সাধারণ মানুষের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে বৈঠকে বসবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যেরা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই বৈঠকেই বুদ্ধদেবের বাড়ি ফেরা নিয়ে পাকা সিদ্ধান্ত হতে পারে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরিবারের লোকেদের মতোই তাঁর দলের সতীর্থরাও অপেক্ষায় রয়েছেন কবে বাড়ি ফেরেন ৭৯বছরের এই রাজনীতিক।মূলতঃ বই পড়তে ও লেখালেখিতে ডুবে থাকেন তিনি। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাইপো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সৃষ্টির জগতেও সুনাম রয়েছে।তাই পাম অ্যাভিনিউয়ের এক চিলতে ফ্ল্যাটে ফিরে এসে তিনি আবার কলম ধরেন কিনা তার দিকেই তাকিয়ে সবমহল।

Related Articles