
The Truth Of Bengal: রামমন্দিরের আবেগকে পুঁজি করেই বিজেপি চব্বিশে ভোটে লড়তে চায়।সেই লক্ষ্যে, ২২জানুয়ারি অযোধ্যায় মেগা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যোগী সরকার ঠিক করেছে,দেড় মাস ধরে রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান চলবে। সেই অনুষ্ঠান শেষ হলে রামমন্দির ইস্যুতে হাতিয়ার করে বিজেপি যে প্রচারের নামতে চায় তার ইঙ্গিতও মিলছে।চব্বিশের আগে রাম-রাজনীতি বিজেপির ভোটকৌশল হয়ে ওঠায় বিরোধীরাও আমজনতার রুটি-রুজির মতো বিষয়কে প্রচারে হাতিয়ার করতে চায়।
রামের নামে ভোট।এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিজেপি আমদানি করেছে বলে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করে।চব্বিশেও এই মন্দির ইস্যু বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে বিজেপির। সেই রাজনীতির পাশা উল্টে দিতে বিরোধীরাও ঘুঁটি সাজাচ্ছে।তাই ধর্মীয় ভাবাবেগের ভিত্তিতে গেরুয়া রাজনীতিকরা যখন ভোটের লড়াইয়ের হাওয়া তুলতে চাইছে তখন বিরোধীরা আমজনতার স্বার্থবাহী ইস্যুতে শান দিতে চাইছে।উগ্র হিন্দুত্ব বনাম রুটি-কাপড়া-মাকানের ইস্যুর সংঘাত যে আগামী লোকসভায় দেখা যাবে তা বলাই যায়।
মার্চ-এপ্রিলে লোকসভার ভোট ধরে নিয়ে এখন থেকেই প্রচারে ঝাঁপাতে চায় বিজেপি। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠন দেড়মাসব্যাপী এবিষয়ে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যোগী আদিত্যনাথের পরিকল্পনা, রাম মন্দির উদ্বোধনের এক সপ্তাহ আগে থেকে পরবর্তী দেড় মাস পর্যন্ত নানা কর্মসূচির মাধ্যমে রামের আবেগকে ধরে রাখা। যোগী প্রশাসন জানিয়েছে, ১৪ জানুয়ারি থেকেই রাজ্যের সব মন্দির ও মঠে ভজন-কীর্তন শুরু হয়ে যাবে। তার দায়িত্বে থাকবেন উত্তরপ্রদেশের শিল্পীরাই। ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মন্দিরে-মন্দিরে রামচরিতমানস ও হনুমানচালিশা পাঠ করা হবে। গাওয়া হবে রামভজনও। এই রাম আবেগে সওয়ারি হয়ে জনজীবনে সাড়া ফেলার কৌশল যে স্পষ্ট তা বলাই যায়।
আগামী লোকসভা ভোটেরা আগে বিজেপি যখন ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে সামনে রেখে হিন্দুত্ববাদীদের এককাট্টা করার চেষ্টা চালাচ্ছে তখন বিরোধীরাও বসে নেই।তাঁরা। মোদি সরকারের ১০বছরের ব্যর্থতাকে ইস্যু করতে চায়।বিশেষতঃ ২কোটি করে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বা ১৫লক্ষ করে অ্যাকাউন্টে দেওয়ার স্বপ্ন ফেরি করার পরও কেন তা মেলেনি,কেন বিজেপি দেশের সম্পদ বেচে কর্পোরেটদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়,তাও জবাব চায় ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা। তাই ইন্ডিয়া জোট ৫রাজ্যের ভোটের ফল দেখে নিয়ে আগামীর লড়াইয়ের সুর বাঁধার কাজটি করতে চায় বলে আভাস মিলছে।
Free Access