অফবিট

কে এগিয়ে? কর্মজীবন না ব্যক্তিজীবন! কী বলছে সমীক্ষা রিপোর্ট

Who comes first? Career or personal life! What does the survey report say

Truth Of Bengal: মৌ বসু: কর্পোরেট সংস্থায় কর্মীদের সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি। ৯০ ঘণ্টা কাজ করা সঠিক সিদ্ধান্ত কিনা, এনিয়ে যখন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঠিক সেই আবহের মধ্যেই Randstad নামক সংস্থার করা সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্যে বিশ্বাসী অধিকাংশ ভারতীয়।

কাজের জগতে ফ্লেক্সিবিলিটি না থাকলে ৫২% ভারতীয় বর্তমান কাজকে ছেড়ে দিতেও দ্বিধা করবেন না বলে জানিয়েছেন। গোটা বিশ্বে এই প্রবণতা ৩১% নাগরিকের মধ্যে দেখা গেছে। মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে Randstad India’s Workmonitor 2025 সমীক্ষা রিপোর্ট। সেই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬০% ভারতীয় মনে করেন কাজের জায়গায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক না থাকলে তাঁরা বর্তমান কাজকে ছেড়ে অন্য অফিসে কাজে যোগ দেওয়াকে শ্রেয় মনে করেন।

কাজের জায়গায় বিষাক্ত বা টক্সিক পরিবেশের জন্য ৫৮% ভারতীয় কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। গোটা বিশ্বে এই প্রবণতা দেখা গেছে ৪৪% মানুষের মধ্যে। ব্যক্তিগত অস্বচ্ছন্দের জন্য ভারতে ৫৩% কর্মী পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। গোটা বিশ্বে সংখ্যাটা হল ২৭%। টালেন্ট সংস্থা Randstad এর কর্ণধার বিশ্বনাথ পি এস মনে করেন, এখন যে কোনো প্রজন্মের ভারতীয়দের কাছে কাজের জায়গায় কমফোর্ট ও ফ্লেক্সিবিলিটি অগ্রাধিকার। যে কোনো বয়সের ভারতীয় কর্মজীবী মানুষরাই নিজেদের শর্তে কাজ করতে আগ্রহী।

দক্ষ কর্মীদের সংস্থায় ধরে রাখতে কর্তৃপক্ষকে ফ্লেক্সিবিলিটি বা সুযোগকে ভাতা হিসাবে দেখলে চলবে না। কাজের ধরনের মধ্যেই তা রাখতে হবে। বেতনের চেয়েও কাজের সুযোগ, দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ ও কাজের জায়গায় কর্তৃপক্ষ কতটা সংশ্লিষ্ট কর্মীকে আপন ভাবছেন, এটাই অগ্রাধিকার অধিকাংশ ভারতীয়র কাছে।’ সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, গোটা বিশ্বে হাইব্রিড ওয়ার্ক মডেল বা অনলাইন-অফলাইন, ২ পদ্ধতিতে মিলিয়ে মিশিয়ে কাজ করা জনপ্রিয় হলেও ভারতে এখনো পারিবারিক দায়দায়িত্ব পালন ও পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকার কারণে কাজের জায়গায় ফ্লেক্সিবিলিটি জরুরি প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে।

সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ৬৯% ভারতীয় কাজের জায়গায় তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবাকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ৬৭% ভারতীয় আবার কাজের জায়গায় দক্ষতা বাড়ানোর ও শেখার সুযোগ না থাকলে বর্তমান কাজকে ছেড়ে দিতেও কসুর করছেন না। দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ৪৩% ভারতীয় এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ৬২% জেন জেড কাজের জায়গায় ফ্লেক্সিবল কাজের সময় চায়। ৬৬% মিলেনিয়াল (১৯৮০-২০০০ সালের মধ্যে জন্ম) পারিবারিক দায়দায়িত্ব পালন ও কাজের জায়গায় দায়দায়িত্ব পালনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে চান। ৬৫% জেন এক্স (১৯৮০ সালের আগে জন্ম) ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষা ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্রহী।