অফবিটকলকাতা

জানেন কি পারসিদের শেষকৃত্য কীভাবে করা হয়? খাস কলকাতাতেই রয়েছে সেই জায়গা

Untold Story of Tower of Silence

The Truth of Bengal: প্রায় হাজার বছর আগে থেকেই থেকে ভারতের সঙ্গে পারস্যের একটা সুসম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরেই ভারতে বহু পারসি ভারতে পাকাপাকি বাস শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে তাঁরা ছড়িয়ে পড়েন মুম্বই, গুজরাট এমনকী কলকাতাতেও। তিলোত্তমা নগরী কলকাতার বুকে যে কটি ভিন্ন ধর্মালম্বীদের কবরস্থান রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পারসিদের দাখমা, বা টাওয়ার অফ সাইলেন্স। একদম ভিন্ন প্রথায় করা হয় মৃতদেহের সৎকার।

প্রচীন জরাথ্রুস্ট্রিয়ান প্রথা মেনে, পারসি ধর্মালম্বীদের মৃতদেহ আগুনে দাহ করা হয় না। এমনকী খ্রিস্টান বা মুসলিমদের মতো মাটির নীচে কবরও দেওয়া হয় না।  বরং উঁচু কোনও জায়গায় প্রাচীর ঘেরা একটি কূপের মধ্যে মৃতদেহ বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়। সেই মৃতদেহ, ধীরে ধীরে ছিন্নভিন্ন করে খেয়ে শেষ করে শকুনের দল। অবশেষ পড়ে থাকে শুধু কঙ্কাল। এটাই পারসিদের ধর্মীয় রীতি অনুসারে শেষকৃত্যের যাত্রা।

আরও পড়ুন : https://truthofbengal.com/off-beat/tufanganj-artist-story/28707/

ঐতিহাসিক তথ্য বলছে, ৪৫৮ খ্রিঃ পূর্বাব্দে জরাথ্রুস্ট ধর্মের প্রবর্তন হয়। এটি প্রাচীন ইরানের একামেনিড, পার্থিয়ান, সাসানিয়ান সাম্রাজ্যের প্রধান ধর্ম হিসেবে বিস্তার লাভ করে। অগ্নি (আতার, আযার) এর পাশাপাশি জলকেও (আপো, আবান) দেবতারূপে উপাসনা করা হত। কলকাতায় সভ্যতা বাড়ছে, নগরায়ণের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে প্রচীন সংস্কৃতির আবেশ। এখন আর টাওয়ার অফ সাইলেন্সে ভিড় জমায় না চিল, শকুনের দল। নামে সাইলেন্স থাকলেও, নিস্তবদ্ধতা এখন আর ঘর করে না ওখানে, অবিরাম কোলাহল, যানবাহনের হর্নের আওয়াজ জায়গা দখল করেছে যে!!