চিকিৎসকের পাশাপাশি শিল্পী নাটাবাড়ির সুশীল কুমার! অবসর সময়ে কারুকার্য করেন কাঠের ওপর
District News

The Truth of Bengal: জীবনের স্পন্দন ঠিক আছে কিনা তা স্টেথোকোপ নিয়ে তিনি পরখ করেন।অসুস্থ রোগীর কাছে তিনি জীবন্ত ভগবান।এখন সেই গ্রামীণ চিকিত্সকই সৃষ্টির কারিগর। ছেনি হাতুড়ি নিয়ে এক টুকরো কাঠকে নানা অবয়ব দিচ্ছেন।অন্যরকম ভাবনার সেই ভাস্করের কাজ তুফানগঞ্জ ছাড়িয়ে উত্তরবঙ্গে সাড়া ফেলেছে। নাটাবাড়ির সুশীল চাকলাদারের হাতের জাদু, যাঁরা দেখছেন তাঁরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো বোঝার চেষ্টা করেন কারুকাজের গভীরতা কোথায়। এক নিমেষে যেভাবে তিনি শিল্পসৃষ্টি করে সমঝদারদের মনে ছাপ রাখছেন তাতে অনেকেই তাঁকে অনন্য জাদুকর বলেও আখ্যা দিচ্ছেন।
কিভাবে এই সৃজনশীলতার ভুবনকে লালনপালন করছেন ? কোথা থেকে প্রেরণা পেলেন ? একথা জিজ্ঞাসা করতেই ভাবনার ভাঁড়ার থেকে অদ্ভুত সব কান্ডের কথা তুলে ধরেন। এখন শিক্ষাঙ্গনে তাঁর কাজের প্রদর্শনী হয়।তিনি চান আগামীতেও ভাস্কর্যের রূপ ফুটে উঠুক এভাবেই।যদি নতুন ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে আসে তাহলে তিনি তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতেও রাজি আছেন।শিল্পসৃজনের আঁতুরঘরে বসে শিল্পী তৈরির টিপসও দিতে চান মোক্ষম দাওয়াইয়ের এই চিকিত্সক।মানুষের শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি নতুন কিছু করার এই তাগিদ নবপ্রজন্মকেও প্রেরণা জোগাচ্ছে।
অনেকেই বলছেন,ছেনি হাতুড়ির যুগল বন্দিতে যে অপরূপ ভাস্কর্যের উপহার এই শিল্পী দিচ্ছে ন তার মূল্য অপরিসীম।বাজারের মূল্যে তাঁকে মাপা যাবে না।লাভ-ক্ষতির দাঁড়িপাল্লায় ওজন না করে সমাজকে সৃষ্টিশীলতায় মগ্ন রাখার এই কাজ তারিফ কুড়োচ্ছে সবার কাছে চিকিত্সক ও শিল্পীর বহুমূখী প্রতিভার সবাই দরাজ প্রশংসা করছেন।অনেকেই তাঁর কাজ দেখতে ই ছুটে আসেন তাঁর বাড়িতে। লোকপ্রিয় শিল্পীর এই কারুকাজের স্বীকৃতিও সম্মান প্রদানের জন্য প্রশাসনও তত্পর আছে।বিডিও তাঁর কাজ দেখে মুগ্ধ।