
The Truth of Bengal: প্রথমে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হবে। প্রোফাইলে সাধারণত সুন্দরী কোনও মেয়ের ছবি থাকে। আর সেই ছবি দেখে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলেই শুরু হবে হাই…হ্যালো, কথাবার্তা একটু এগোলেই চাওয়া হবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। মোহে পড়ে নম্বর দিলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠবে ভিডিয়ো কল। দেখতে পাবেন কোনও খোলামেলা রহস্যময়ী নারীর ছবি। অচেনা হলেও খোলামেলা পোশাক হয়তো শিহরণ জাগাবে আপনাকে। আসলে যে আপনি ফাঁদে পড়েছেন, তা হয়তো বুঝতে পারবেন না। তারপরেই শুরু হবে আসল ‘খেলা’।
কল চলাকালীন আগেই স্ক্রিন শট তুলে নেওয়া হবে। এবার আপনার কাছে দিল্লি পুলিশের নামে ফোন আসবে। বা আসতে পারে হুমকি ফোন। বলা হবে আপনি অমুক কোনও মহিলার সঙ্গে কেন চ্যাট করেছেন? হানিট্র্যাপে ফেলে শুরু হবে ব্ল্যাকমেল। খোলামেলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শুরু হবে টাকা চাওয়া। কী ভাবে চলে এই চক্র। জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ।
একবার ফাঁদে পা দিলেই শেষ। ছবি ভাইরাল করে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে বারবার টাকা দাবি করা হবে। সামাজিক সম্মানের ভয়ে অনেকে প্রতারকদের টাকা দিতে বাধ্য হন। প্রতারকদের খপ্পর থেকে সহজে বেরিয়ে আসতে পারবেন না। একবার এই ফাঁদে পড়লে হতে পারেন সর্বস্বান্ত। তাই সাবধান। মুহূর্তের ভুলে এমন ফাঁদে অনেকেই পা দিয়ে ফেলেন। তাই সাবধান হোন। প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। সুন্দরী মেয়ের ছবি দেওয়া কোনও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্টের আগে যাচাই করুন। নতুন অ্যাকাউন্ট থেকে রিকোয়েস্ট এলে এড়িয়ে চলুন। তারপরও যদি এমন ঘটনার শিকার হন, তা হলে পুলিশকে জানান। অভিযোগ দায়ের করুন সাইবার ক্রাইম শাখায়।